মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুন্দরগঞ্জ থানার কিসামত হলদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওহেদুর রহমান একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎকালীন পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ মোট ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলাটি গাইবান্ধা জেলা জজকোর্টে দায়েরের পর আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট ২০২৪ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রজনতার মিছিলে অংশগ্রহণকারী ওহেদুর রহমানকে হত্যা প্রচেষ্টার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশের তৎকালীন কর্মকর্তাদের হুকুমে মিছিলে সরাসরি গুলি চালানো হয়। এতে বাদীসহ অনেক ছাত্রজনতা গুলিবিদ্ধ হন। ওহেদুর রহমানের শরীরে মোট ৯টি বুলেট লাগে এবং তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাদী আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন আওয়ামী লীগের ৫-১০ নম্বর আসামিদের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী হাসপাতাল আক্রমণ করে এবং আহত ছাত্র জনতাকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে। পরিস্থিতির ভয়ে বাদী চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই হাসপাতাল ত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে ডাঃ তাজুল ইসলামের চেম্বারে একটি বুলেট অপসারণ করা হয়। শারীরিক সুস্থতা অর্জনে সময় লাগায় মামলা করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলে বাদী জানান।
মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন: ১. শেখ হাসিনা – সভানেত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ঢাকা ২. মোঃ কামাল হোসেন তৎকালীন পুলিশ সুপার গাইবান্ধা, ৩. মোঃ ইব্রাহীম-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, গাইবান্ধা, ৪. মোঃ মাসুদ রানা-অফিসার ইনচার্জ সদর থানা, ৫. মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক-সভাপতি, ৬. মোঃ মোজাম্মেল হক মন্ডল-সাধারণ সম্পাদক, ৭. সর্দার সাঈদ হোসেন লোটন-সভাপতি, গাইবান্ধা জেলা যুবলীগ, ৮. শাহ আহসান হাবীব রাজীব-সাধারণ সম্পাদক, গাইবান্ধা জেলা যুবলীগ, ৯. মোঃ আসিফ সরকার-সাবেক সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগ, ১০. মোঃ মোসাদ্দেক (মামুন)-সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধের কারণে বাদীর উপর পরিকল্পিতভাবে গুলি চালানো হয়েছিল, যাতে ওহেদুর রহমানসহ অনেক আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হন। এজাহারে উল্লেখ করা হয় যে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট গাইবান্ধায় আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালানো হয়।