শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৭ অপরাহ্ন

সান্তাহার ও পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী ২ টি ট্রেন বন্ধ থাকায় দূর্ভোগ

সান্তাহার ও পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী ২ টি ট্রেন বন্ধ থাকায় দূর্ভোগ

নলডাঙ্গা (সাদুল্লাপুর) প্রতিনিধিঃ সান্তাহার -দিনাজপুর -পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী ৭ আপ ও এইট ডাউন মেইল ট্রেন ২ টি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় যাত্রী সাধারনের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। করোনাকালীন সময় ট্রেন ২ টি বন্ধ রাখেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি অনেকটা কমে গেলে এ রুটে আন্তনগর সহ অন্যান্য ট্রেনগুলো চলাচল শুরু করে। কিন্তু এ পর্যন্ত চালু করা হয়নি বন্ধ এই দুটি ট্রেন।
ভূক্তভোগি যাত্রী সাধারণেরা জানান, রংপুর, পার্বতীপুর, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় যাওয়ার জন্য যাত্রীদের এই ট্রেন ২ টি একমাত্র ভরসা।
অথচ গুরুত্বপূর্ন ট্রেন ২ টি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখায় যাত্রীদের চরম দূর্ভোগে ফেলছে। এমতবস্থায় অনেকেই নিরূপায় হয়ে প্রয়োজনের তাগিদে বিভাগীয় শহর রংপুর ও শিক্ষাবোর্ড দিনাজপুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় নানা হয়রানীর শিকার হয়ে বাসে যাতায়াত করছেন।
সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা রেল স্টেশনে রংপুর, পার্বতীপুর, দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষামান যাত্রী মুনছুর আলী, শামীম মিয়া, আঃ ছাত্তার, আমিনুল সাগর আলী সহ ভুক্তভোগি অনেকেই বলেন, স্টেশনে ৭ আপ ট্রেনে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তুু স্টেশনে আসার কিছুক্ষন পর জানতে পারি ট্রেনটি এখনো চালু করা হয়নি। এখন বাধ্য হয়ে আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসে গন্তব্যস্থানে যেতে হবে। নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহরিয়ার ইসলাম রাসেল বলেন, গুরুত্বপূর্ন ট্রেন ২ টি বন্ধ থাকায় এ এলাকার মানুষজন বিভাগীয় শহর রংপুর ও শিক্ষাবোর্ড দিনাজপুরে যাতায়াতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। তিনি অনতিবিলম্বে রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে ট্রেন ২টি চলাচলের জন্য জোর দাবি জানান।
নলডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন সরকার ও যুবলীগ নেতা শরীফ জানান, ট্রেন হচ্ছে যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও স্বস্তিকর যাত্রাপথ। এজন্য মানুষজন ট্রেনে যাতায়াত করতে অনেকটা স্বাচ্ছ্যেন্দবোধ করেন। আর বাসে চলাচল করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ন ভেবে কেউ কেউ কেউ বাসে যেতে চান না। ট্রেন ২ টি বন্ধ থাকায় এ অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্টিকে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তাই ট্রেন ২টি দ্রুত চলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমানিরহাট ডিভিশনের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্টের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে তিনি ফোনটি ধরেননি।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com