মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সাদুল্লাপুরের সবার অতি পরিচিত মোসলেম উদ্দিন প্রধান। পথে প্রান্তরে ঘুরেন হ্যান্ডমাইক নিয়ে। হেঁটে চলেন হাট-বাজার ও শহরে। নামাজের দাওয়াত দেন হ্যান্ড মাইক দিয়ে। এভাবে ১০ বছর ধরে মুসলিম ভাইদের হ্যান্ডমাইকে নামাজের আহবান জানান। সাদুল্লাপুর উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে তাকে মাইকিং করতে দেখেনি, এমন মানুষ বোধহয় কমই আছে। গত সোমবার যোহরের নামাজের আগে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাটে দেখা যায়- এই মোসলেমকে। তখন তার হাতে থাকা মাইকে জোহরের নামাজের আহবান করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই-বোনদের। এভাবেই তিনি দীর্ঘদিন থেকে হ্যান্ডমাইকে নামাজের জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন ।
মোসলেম উদ্দিন প্রধানের বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামে। এ গ্রামের মৃত মহিম উদ্দিন প্রধানের ছেলে তিনি। তার বয়স ৬৪ বছর ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছেলে-মেয়েসহ ৭ সন্তানের জনক মোসলেম উদ্দিন প্রধান। বয়স যখন ৪০, তখন পাটের ব্যবসা করে চলছিল তার সংসার। এরই মধ্যে এ ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হন। এরপর জীবিকার তাগিদে ঢাকায় রিকশা চালাতেন। সেখানে তাকে নামাজের তাগিদ দিতেন মসজিদের মুসল্লিরা। এরপর শুরু করেন ৫ ওয়াক্ত নামাজ। সেই থেকে আর কখনো নামাজ বাদ করেন না। ধীরে ধীরে আল্লাহ ভক্ত হয়ে ওঠেন।
এরই ধারবাহিকতায় ১০ বছরে আগে ঢাকা ছেড়ে ফিরে আসেন বাড়িতে। নিজের টাকায় কেনেন একটি ব্যাগ ও হ্যান্ডমাইক। প্রত্যেক দিন সকালে বেড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন শহর ও হাট-বাজারে। পায়ে যেন তার বাহন। হেঁটে চলেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তরে। কাজ একটাই, নামাজের জন্য সবাইকে দাওয়াত দেওয়া। এছাড়া আযানের আগ মুহূর্তে হ্যান্ডমাইকে নামাজের আহবান করে চলেছেন। বিশেষ করে সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরে তাকে মাইকিং করতে দেখেনি, এমন মানুষ বোধহয় কমই আছে। এছাড়া মীরপুরহাট, ধাপেরহাট, ঘোগার বাজারসহ আরও বেশ কিছু এলাকায় হ্যান্ডমাইক নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে এই মোসলেমকে।
এ বিষয়ে মোসলেম উদ্দিন প্রধান বলেন, কোরআনে আল্লাহ বলেছেন নিজে নামাজ পড় এবং অন্যকেও নামাজ পড়তে বলো। ইসলামের এই আদর্শ মেনে হ্যান্ডমাইকে হেঁটে হেঁটে মুসলমানদের নামাজ পড়ার আহবান করছি। এ কাজটি স্বেচ্ছাশ্রমে করা হচ্ছে। এতে কেউ সহযোগিতা করলে ভালো হতো।