স্টাফ রিপোর্টারঃ দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় সাদুল্লাপুরে স্কুলে স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা।
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৩শ’ ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ১শ’ ৯৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩৭টি মাদ্রাসা এবং ১১টি কলেজ। এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাখা হয়েছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। শিক্ষকরাও পাঠদান করেছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের মুখেও ছিল মাস্ক।
গত রোববার সকালে উপজেলার জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, বিদ্যালয়ের মূল ফটকে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। এরপর হাতে হ্যান্ড সেনিটাইজার দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদেরকে বিদ্যালয় চত্বরে ঢোকানো হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের মাঠে রাখা হয়েছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। এদিকে যাদের মুখে মাস্ক নেই, তাদেরকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাস্ক প্রদান করছে। শ্রেণিকক্ষের ভিতরেও শিক্ষকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করতে দেখা গেছে।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজিদা আকতার সীমা বলেন, স্কুলে এসে খুব আনন্দ লাগছে। একই শ্রেণির অপর শিক্ষার্থী মিথিলা আকতার বলেন, দীর্ঘদিন পর বান্ধবীদের সাথে দেখা হলো। আবারও তাদের সাথে ক্লাস করতে পারবো, এজন্য খুব ভাল লাগছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১৮ মাস পর বিদ্যালয় খুলেছে। তাই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দটা ছিল অন্যরকম। তাদের আগমনে সকালে বিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন পর পাঠদান করতে পেরে ভাল লাগছে।
সাদুল্লাপুর উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে একই চিত্র দেখা গেছে। বেশিরভাগ শিশু শিক্ষার্থীর মুখে মাস্ক। তাদেরকেও তাপমাত্রা মাপার পর ক্লাসে ঢোকানো হচ্ছে।