শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ উত্তরের শস্যভান্ডার নামে খ্যাত সাদুল্যাপুরে টাটকা সবজি সব সময়ই ক্রেতাদের আগ্রহের বিষয়। প্রতিবছর এই সময়টাতে বিশেষ করে বেগুণ বিক্রি করে চাষীরা প্রচুর লাভবান হন। কিন্ত এবার করোনা ভাইরাসের কারণে এলাকায় লোকজন তেমন ভীড়ছেন না। বাধ্য হয়ে কৃষকরা প্রতি কেজি বেগুণ ১ টাকা দরে বিক্রি করছে তাই গাইবান্ধায় একমন বেগুন বিক্রি করেও মিলছেনা এক কেজি চালের দাম আবাহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার গাইবান্ধা জেলায় প্রচুর পরিমাণে বেগুন উৎপাদন হয়েছে । কিন্তু উৎপাদন বেশি হলেও দাম নেই । সাদুল্যাপুর হাট-বাজারে প্রতি মন বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় । এই টাকায় ১ কেজি চাল কেনাও সম্ভব
নয় বলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বেগুন চাষিরা। বাহিরে তেমন সবজি দিতে না পারায় এলাকার সব
সবজি নিজস্ব আড়দে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজার গুলোতে পাইকারদের আনাগোনা
তেমন নেই বল্লেই চলে। চাষীরা দাম বেশি পাবার জন্য নিজেরাও যেতে পারছেন না
দূরের বাজারগুলোতে। তবে জেলা শহরে তুলনামূলকভাবে দাম বেশি। ফলে বাজারে বেগুন নিয়ে গিয়ে তাদের বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে। আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে বেগুনে বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড় আক্রমণ করে আর এই পোকা দমন করতে প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় তাই বেগুন উৎপাদনে খরচ একটু বেশি । বিঘা প্রতি ১০-১২ হাজার টাকা খরচ করেছে চাষিরা। কয়েকজন কৃষক জানান এবার বেগুন চাষে লাভ তো দূরের কথা আসলও উঠবে না । গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মাসুদুর রহমান জানান করনা ভাইরাসের কারনে কৃষকরা বাজারে সবজি নিয়ে গেলেও ক্রেতার অভাবে তারা ন্যায্য মূল্যে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার কিন্ত বলেছে কৃষি পন্য গাড়ীতে করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে। কিন্ত মানুষ না থাকায় তা বিক্রি করতে পারছেনা। বেগুনের দাম পরতির দিকে । করোনার কারনে এটা হয়েছে। এর ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রতি বছর এই সময় প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বিক্রি হলেও এবার প্রতি
কেজি ১ টাকা বিক্রি হচ্ছে । ফলে খরচ উঠছে না কৃষকদের। এদিকে বেগুন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা । অনেক কৃষকের বেগুন বিক্রি অভাবে পঁচে যাচ্ছে । এ বছর গাইবান্ধা জেলায় সাড়ে ৩ হাজার একর জমিতে বেগুন চাষ করা হয়েছে ।