শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন
সাদুল্লাপুর প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুর উপজেলায় করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও যৌথ কল্যাণ তহবিলের নামে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন পরিবহনের মালিক,চালক ও হেল্পাররা। যেন দেখার কেউ নেই।
জানা গেছে, সাদুল্লাপুর ট্রাক, ট্যাঙ্কলড়ি ও কাভার্ডভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নাম মাত্র সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নিজেদের আখের গোছাতে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদা আদায় করে আসছে। প্রতিদন সাদুল্লাপুর শহরে কোনো পরিবহন ঢুকলে প্রতিগাড়ী ৪০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে। এতে চাঁদার টাকা না পেলে চালক-হেল্পারদের সঙ্গে অসদাচরণ করাসহ গায়ে হাত তোলার ঘটনাও ঘটছে। এছাড়া ট্রাক্টর (কাকড়া) ও প্রলির মালিকদের নিকট থেকে মাসিক চাঁদা দাবী করার অভিযোগও রয়েছে।
এভাবে তারা স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে দৈনিক প্রায় ৫/৬ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে সভাপতি/সম্পাদক টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বুনেছে। অথচ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও নুরুল ইসলাম তাদের নিজস্ব কোন পরিবহন নেই। তবুও ওই সংগঠনের সভাপতি/সম্পাদক সেজেছেন তারা।
কাভার্ডভ্যান পরিবহন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, শ্রমিকদের নাম ভাঙিয়ে টাকা উত্তোলন করা হলেও, শ্রমিকদের কল্যাণে কিছুই করা হয় না। এই অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন বন্ধ করতে প্রশাসনের পদক্ষেপ দাবী করেন তিনি।
এ বিষয়ে এক ট্রাক চালক বলেন, যৌথ কল্যাণ তহবিলের নামে চাঁদা দিতে অপরাগতা দেখালে তারা অশোভনীয় আচারণ করাসহ মাথার উপর লাঠি তোলে থাকে। বর্তমানে এই চাঁদাবাজদের অসচারণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছি।
সাদুল্লাপুর ট্রাক, ট্যাঙ্কলড়ি, ও কাভার্ড্যভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, আমরা রশিদমূলে চাঁদা আদায় করছি। এটি আমাদের সংগঠনের বৈধতা রয়েছে।