সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ সাঘাটা থানার পুলিশের উপর হামলা, পুলিশ আহত হামলাকারীর মরদেহ ১ দিন পর পুকুর থেকে উদ্ধার।
জানা গেছে, সাঘাটা থানায় গত বৃহস্পতিবার রাত অনুমান ৯ টা ৫৬ মিনিটে অপরিচিত যুবক থানার কম্পিউটার ও ডিউটি অফিসারের রুমে ঢুকে প্রথমে অভিযোগ লেখার কথা বলে, ডিউটি অফিসার অপরিচিত যুবককে বাহির থেকে অভিযোগ লিখে আনার পরামর্শ দেয়। তখন ওই যুবক পুলিশ সেন্ট্রির কাছে এসে তার কাছে থাকা বন্দুকটি নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে । তখন পুলিশ সেন্ট্রি ডাক চিৎকার দিলে পাশের রুমে থাকা এএস আই মহসিনসহ কয়েক জন পুলিশ এসে বন্দুকটি উদ্ধার করে। এ সময় তাকে ধরার চেষ্টা করলে যুবকের কাছে থাকা অত্যাধনিক ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাতারী ভাবে আঘাত করে এতে এ এস আই মহসিন আহত হয়। পরে মহসিনকে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করায় এ সময় হামলাকারী যুবক পালিয়ে যায় । পরে, পুলিশ ও এলাকাবাসী তাকে ধরতে পিছনে পিছনে গেলে যুবক সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে লাফ দিয়ে পুকুরের ঝোপ ঝাপের মধ্যে লুকিয়া পরে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে আর দেখতে না পেয়ে স্থানীয় লোকজন সবাই নিজ নিজ বাড়ীতে চলে যায় । পরের দিন গতকাল শুক্রবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পালানো যুবকের মরদেহ ঐই পুকুর থেকে উদ্ধার করেন।
পরে তার পকেটে থাকা গাইবান্ধা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) খোলাহাটি প্রবেশ পত্র লেখা থেকে জানাযায় সে গাইবান্ধার বাগুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে সিজু মিয়া ।
এ ঘটনায় পরিদর্শন করেছেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার নিশাত এ্যাঞ্জেলা। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ।