বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ বাজারে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, চিনি, আটা, আদা, রসুন, এলাচ, শুকনা মরিচ, ভোজ্যতেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম চাড়া। বাজারে মালামালের সংকট চলছে, পাওয়া যাচ্ছে না কিংবা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে- এমন নানা অজুহাতে সাঘাটায় নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। করোনাকালের এই সময়ে এমনিতেই কষ্টে আছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। তার উপর নিত্যপণ্যের চড়া দাম মেনে নিতে পারছেন না তারা। এতে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস বাড়ছেই। তারা বলছেন, বাজারে খাদ্যপণ্যের কোনো সংকট নেই। চাহিদার সবটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তারপরও দাম বেশি। কারণ বাজার তদারকি সংস্থাগুলোর জোরদার তৎপরতা নেই। আর এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা ভোক্তার পকেট কাটছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে ১৬০০ টাকা বস্তার (৫০ কেজি) মাঝারি চিকন চাল এখন ২১০০ টাকা, ১৪০০ টাকা বস্তার মোটা (রন্জীত) চাল ২০০০ টাকা, ২৮০ টাকা কেজির জিরা ৪৬০ টাকা, ৫৬ টাকা কেজির মশুর ডাল ১২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রকারভেদে প্রতিটি পণ্যই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার বোনারপাড়ায় বাজার করতে আসা শিমুলতাইর গ্রামের বজলুর রশিদ মিঠু জানান, এভাবে নিজেদের ইচ্ছামত দোকানদাররা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। চড়া দামে পণ্য কিনতে তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে বলেও জানান তিনি।
উপজেলার বোনারপাড়া, সাঘাটা, ভরতখালী, নয়াবন্দর, জুমারবাড়ি, বারকোনা, মিয়ার বাজার, নয়াবন্দর, হলদিয়া, উল্যাসোনাতলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলোতে কোন নিয়ম মানছেন না দোকানীরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, বাজার মনিটরিং চলছেই। তবে মুল্য বৃদ্ধি হলে জরিমানাও করা হচ্ছে।