সাঘাটা প্রতিনিধিঃ সাঘাটা উপজেলায় আবারও শৈত্য প্রবাহে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হঠাৎ জেকে বসা শীতে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ জন চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। শীত বস্ত্রের অভাবে শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড় কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে। শীতে সবচেয়ে দূর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্ক মানুষ। ঠান্ডা জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। হঠাৎ শীতে শ্রমজীবী মানুষের চরম দূর্দশা বেড়েছে। শীতের কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছে না তারা। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও রাস্তায় যানবাহন চালাচ্ছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, গত কয়েক দিনের শৈত্য প্রবাহে ঘন কুয়াশা এবং হিমেল হাওয়ায় চরাঞ্চলের শ্রমজীবি মানুষেরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না। আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকাই চরাঞ্চল। এ কারণেই সরকারীভাবে যে পরিমাণ শীতবস্ত্রের বরাদ্দ পেয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এদিকে শীতে আক্রান্ত হয়ে উপজেলায় জমিতে কাজ করতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার তারেক (৩২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সে চাকুলী গ্রামের কাজেম উদ্দিন এর পুত্র। ওই এলাকার ইউপি সদস্য মিনার আহম্মেদ জালালী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার পার্শ্ববর্তী জমিতে অন্যের কাজ করতে গিয়ে শীতে আক্রান্ত হয়ে জমিতে পড়ে যায়। সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাকিল আহম্মেদ জানান, সরকারী শীত বস্ত্রের বরাদ্দ যেটুকু পাওয়া গেছে তা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের দ্বারা বিতরণ করা হয়েছে। নতুন শীতবস্ত্রের বরাদ্দের জন্য চাহিদা পত্র দেওয়া হয়েছে।