শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

সাঘাটার যমুনায় মাছের সংকট কষ্টে দিন কাটছে জেলেদের

সাঘাটার যমুনায় মাছের সংকট কষ্টে দিন কাটছে জেলেদের

স্টাফ রিপোর্টারঃ সাঘাটা উপজেলার যমুনা নদীতে মাছ সংকট হওয়ায় কষ্টে আছেন জেলে পরিবারের লোকজন। গত কয়েক বছর ধরেই নদীতে আর চাহিদামতো মাছ মিলছে না। সারাদিন নদীতে জাল ফেলে দু থেকে তিনশ টাকার মাছও পাওয়া যায় না। মাছের অভাবে তারা দিন দিন তাদের পেশা পরিবর্তন করছেন।
উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামের জ্যোৎস্না চন্দ্র দাস পেশায় একজন জেলে। চার দশক থেকে যুমনায় মুঠোজাল ফেলে ধরে পাঁচ সদস্যের পরিবারের ব্যয় বহন করে আসছেন। এতোদিন ভালোভাবেই তার সংসার চলছিলো। বর্তমানে নদীতে মাছ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন। এ সমস্যা শুধু তার একার নয়। জ্যোৎস্নার মতো মাঝিপাড়ার বলরাম, নিপেন, কার্তিকসহ অর্ধশত জেলে পরিবার কষ্টে আছেন।
জেলেরা জানান, নদী বা খাল-বিলের উপর নির্ভর করে এখন সংসার চালানো কঠিন। একারণে এই পেশা ছেড়ে জেলেরা ভিন্ন পেশায় সম্পৃক্ত হতে বাধ্য হচ্ছে। এ পেশায় নিয়োজিত উপজেলার ঝাড়াবর্ষা গ্রামের বিপুল চন্দ্র দাস জানান, নদীতে মাছ ধরে আর সংসার চলে না। স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন ধরণের জাল কিনে নদীতে মাছ ধরছেন। ক্রমানয়ে কমে যাচ্ছে মাছের পরিমান। একারণে একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে মাছ ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়েছি। এতে সংসারের অভাব-অনটন কিছুটা কমেছে বলে তিনি জানান। উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য মোংলা চন্দ্র দাস জানান, মুক্ত জলাশয় এখন আর মুক্ত নেই। স্থানীয় প্রভাবশালীরা খাল-বিল দখল করে সব ধরনের ছোট মাছ নিধন করছেন। যার ফলে মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরা পেশার সাথে সম্পৃক্তরা চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, এসব পরিবারের লোকজনের কোন আর্থিক সামর্থ্য, সঞ্চয় ও ভিন্ন কর্মদক্ষতা না থাকায় কষ্টে-ক্লিষ্টে জীবনযাপন করছে। সময়ের বিবর্তনে এসব পরিবারের জীবনজীবিকার উন্নয়নে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এজন্য তিনি জেলে পরিবারের শিশুদের শিক্ষা ও যুবকদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে আয় উপার্জনমূলক কর্মের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। উপজেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি দোলোয়ার হোসেন জানান, নদীর নাব্যসংকটে মাছের আভয়স্থল আর নেই। আর এর প্রভাব পড়েছে মৎস্যজীবি জেলে পরিবারগুলোতে। এসব পরিবারের লোকজন অনেকেই ভিন্ন পেশায় সম্পৃক্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা হলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক বলেন, শুস্ক মৌসুমে একটু সমস্যা হয় তাদের। এমন সময়ে সরকারী ভাবে সহযোগীতার ব্যবস্থা নেই।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com