শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন

সাঘাটার নলছিয়া নৌ-ঘাটের প্রবেশ মুখে বালিচর জেগে নৌ চলাচল বন্ধ

সাঘাটার নলছিয়া নৌ-ঘাটের প্রবেশ মুখে বালিচর জেগে নৌ চলাচল বন্ধ

সাঘাটা প্রতিনিধিঃ যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে হ্রাস পাওয়ায় সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের নলছিয়া নৌ-ঘাটের প্রবেশ মুখে ৪০ মিটার এলাকা বালিচর জেগে উঠায় নৌ-চলাচলের ক্যানেল বন্ধ হয়ে নৌ-ঘাটে নৌকা ভিড়তে পাচ্ছে না। ফলে হলদিয়া ইউনিয়নের দিঘলকান্দি, পাতিলবাড়ী, গাড়ামারা, সিপি গাড়ামারা, কানাইপাড়া, চর নলছিয়া, চর গোবিন্দপুর সহ পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ, গুটাল সহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষের চলাচল এবং ঐসব এলাকায় উৎপাদিত পন্য সামগ্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হলদিয়া ইউনিয়নের উল্লেখিত মৌজা গুলো চরাঞ্চল হওয়ায় যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন হলো নৌকা।
কিন্তু নৌ-ঘাটের প্রবেশ মুখে বালিচর জেগে নৌ-ক্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে চরাঞ্চলের এসব মানুষ তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল বাজারে বিক্রয়ের জন্য আনা নেওয়া করতে পাচ্ছে না। প্রায় ৪ কিলোমিটার বালিচর পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে এসব লোকদেরকে অতিকষ্টে যাতায়াত করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থী, মহিলা ও বৃদ্ধ মানুষগুলো যাতায়াত করছে অতি কষ্টে। তাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর পরিবহন তো দূরের কথা একাকী বালির মধ্যে পায়ে হেঁটে আসা যাওয়াই অতি কষ্টকর।
এছাড়া মুমুর্ষ রোগীর জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন দেখা দিলে অতিকষ্টে দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার বালিচর দিয়ে হেঁটে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা জেলা শহরের কোন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। নলছিয়া নৌ-ঘাটের দক্ষিণাংশে ৪০ মিটার জেগে ওঠা বালিচর খনন করে বালি অপসারণ করে নৌ-চলাচল পথ সচল করা হলে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে চরাঞ্চলে। দূর্ভোগ লাঘব হবে চরাঞ্চলবাসীর।
এ ব্যাপারে সিপি গাড়ামারা মৌজার আজিমুদ্দিন জানান, বালুর মধ্যে দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ী থেকে জুমারবাড়ী হাটে আসতে খুবই কষ্ট হয়। আমাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে আনি কিভাবে? তাই ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে।
চর নলছিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, নৌকা চলাচল না করার কারণে আমাদের জমির ফসল- বেগুন, মরিচ, লাউ, কুমড়া, মুলা বাজারে বিক্রয়ের জন্য আনা কষ্টকর হওয়ায় এসব ফসল জমিতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
নলছিয়া নৌ-ঘাটের ইজারাদার জয়নাল আবেদীন জানান, সরকারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে ঘাট লীজ নিয়েছি। কিন্তু বালিচর জেগে উঠে নৌ-ক্যানেল বন্ধ হওয়ায় নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
এ ব্যাপারে হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী প্রধান জানান, সামান্য ৪০ মিটার ক্যানেলের মুখের বালি খনন করে অপসারণ করা হলে আমার হলদিয়া ইউনিয়নের ৭ টি মৌজার মানুষ নৌকা যোগে অতি সহজে অল্প সময়ে যাতায়াত করা সহ তাদের সেখানকার উৎপাদিত ফসল ও পন্য সামগ্রী পরিবহন করা সহজতর হবে।
চরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে দূর্ভোগ লাঘবে নৌ-ক্যানেলের মুখে ৪০ মিটার এলাকা জুড়ে জেগে ওঠা বালিচরের বালি অপসারণ করে নৌ চলাচলের পথ সচল করার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান চরাঞ্চলবাসী।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com