বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ উচ্ছশৃঙ্খল আচরণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ খলিলুর রহমান কলেজ ক্যাম্পাসে একদল উচ্ছশৃঙ্খল ও বখাটে যুবকের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী শহরের পশ্চিম পাড়ার আবদুল মজিদ মিয়ার ছেলে মোঃ জিসাদ মিয়াকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় বিক্ষুপ্ত হয়ে উঠেছেন জেলার বৃহত্তম এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠাটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত বৃহস্পতিবার শহরের ডিবি রোডে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আয়োজনে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক এবিএম জিল্লুর রহমান শাহীন, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক আনিসা আকতার বেগম চৌধুরী, অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রহিম, অধ্যাপক ইফতেখারুর রহমান, শিক্ষার্থী সাগর আহমেদ, নাইমুল ইসলাম বিশাল, কামাল হোসেন, রায়হান সরকার, জান্নাতুল মাওয়া, তিতুমীর প্রধান প্রমুখ।
কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্র ও বক্তারা জানায়, কলেজ চলাকালিন সময় গত বুধবার যোহরের নামাজ পড়ে নিজের দপ্তরে ফেরার সময় অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান দেখতে পান কলেজ ক্যাম্পাসের চারদিকের রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে কিছু উশৃঙ্খল ও বখাটে যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে এলোপাথারী ঘোরাফেরা করছে। তিনি তাদের আচরণের প্রতিবাদ করলে তার হাত মুচড়ে ধরা হয় এবং এক পর্যায়ে তিনি মারধোরের শিকার হন। তারা বলেন, একজন অধ্যক্ষের সাথে এধরণের আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। প্রয়োজনে এ ঘটনায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান জানান, তার উপরে হামলাকারীরা বেশিরভাগই বহিরাগত। তারা প্রায়ই উচ্চ স্বরে হর্ণ বাজিয়ে চিৎকার করে ক্যাম্পাসে আতংকের সৃষ্টি করে। এই ঘটনায় তাকে শুধু মারপিটই নয়, তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে তার বুকের উপর উঠে বসে গলা টিপে ধরে। এ ঘটনায় একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি মানসিক ও শারিরিকভাবে বিপর্যস্ত।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধার সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পর রাতেই অধ্যক্ষ বাদি হয়ে জিসাদ মিয়াসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪-৫জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ বাকি আসামীদের ধরতে তৎপর রয়েছে।