বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর প্যাথলজি ও বহির্বিভাগ গত বুধবার সন্ধ্যায় লকডাউন ঘোষণা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শনাক্ত হওয়া ওই টেকনোলজিস্টকে আইসোলেসন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে প্যাথলজি বিভাগের আরও চারজনকে। করোনায়ায় শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তির বাড়ি পলাশবাড়ি উপজেলায়।
তবে প্যাথলজি বিভাগ ও বহির্বিভাগ লক ডাউন হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বহির্বিভাগ সেবা জরুরী বিভাগের বন্ধ করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে যারা করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে যেতো তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল প্যাথলজি বিভাগে। পরে এসব নমুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে পাঠানো হতো রংপুর মেডিকেল কলেজের করোনা শনাক্তের পিসিআর ল্যাবে। আর এ কাজে যুক্ত ছিলো প্যাথলজি বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) তিনজন, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট একজন ও এমএলএসএস একজন। সম্প্রতি এক মেডিকেল টেকনোলজিস্টের করোনার উপসর্গ কাশি দেখা দিলে তার নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে করোনা পরীক্ষা করে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। এমতাবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্যাথলজি বিভাগ ও বহির্বিভাগ লক ডাউন ঘোষণা করে তালাবদ্ধ করে দেয়। করোনা শনাক্ত হওয়া ওই মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে গাইবান্ধা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অস্থায়ী আইসোলেসন কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান জানান, প্যাথলজি বিভাগের একজনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় তার ৪ সহকর্মীকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আপাতত কয়েকদিন প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ থাকবে। চারজনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তাদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নেগেটিভ হলে তখন প্যাথলজি বিভাগের সেবা চালু করা হবে। তবে ওই চারজনও যদি করোনায় পজেটিভ হয় তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ থাকবে।