বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মত শীত, হিমেল হাওয়া এবং কন কনে ঠান্ডায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। শীত বস্ত্রের অভাবে ছিন্নমুল পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শীতের কারণে ফুটপাতের পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। সরকারি ভাবে ৮ হাজার ৯’শ কম্বল বরাদ্দ ও তা বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো কাবু হয়ে পড়েছেন। পথ শিশু ও ফুটপাতের মানুষজন দিশা হারিয়ে ফেলেছেন। গত ১৭/১৮ জানুয়ারি হতে সূর্যের আলো তেমন একটা দেখা যায়নি সুন্দরগঞ্জের আকাশে। সে কারণে স্থবির হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠান্ডার কারণে কর্মজীবী এবং শ্রর্মজীবী শ্রেণির মানুষজন যথা নিয়মে কর্মস্থলে যেতে পারছেন না। ঘন কুয়াশাযুক্ত আবহাওয়া কৃষক-কৃষাণীদের চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। ধান শুকানোসহ নানাবিধ কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। হাট, বাজার, দোকান পাট চলছে ঢিলেঢালা ভাবে। উপজেলার তারাপুর বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, চন্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চলের অসহায় পরিবারগুলো নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। নানাবিধ রোগব্যধির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রবি ফসল নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। আলুর আবাদ রয়েছে হুমকির মুখে। গম ক্ষেতে পঁচন রোগ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে- ফিরে এবং খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে চরাঞ্চলের জমি-জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে খঁড় কুটো জ্বালিয়ে এমনকি কাঁথা গায়ে দিয়ে ঠান্ডা নিবারন করছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু এবং প্রসূতি মায়েরা অনেক কষ্টে রয়েছেন। কিন্তু গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভির থাকলেও দাম নাগালের বাইরে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শীত জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অপরদিকে ঠান্ডার কারনে যানবাহন চলাচল ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। কুয়শিার কারণে অবৈধভাবে পরিচালিত নছিমন, করিমন, ভটভটি এবং ব্যাটারি চালিত অটোবাইক অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, সরকারি ভাবে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৫’শ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, বরাদ্দ পাওয়া কম্বল বিতরণ শেষ পর্যায়ে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!