শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন

শান্তিরামে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফি ২০০ টাকা

শান্তিরামে জন্ম নিবন্ধন সনদের ফি ২০০ টাকা

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সরকারি বিধি তোয়াক্কা না করে নিজের মনগড়া নিদের্শনায় চলছে ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম। সরকারি গেজেট অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন সনদ ফি ৫০ টাকা। অথচ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবিএম মিজানুর রহমান খোকন জন্ম নিবন্ধন ফি বাবদ নিচ্ছেন ২০০ হতে ৩০০ টাকা। আবেদন জমা দেয়ার ১৫দিন পর মিলছে জন্ম নিবন্ধন সনদ। অভিযোগের শেষ নেই চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেয়ার পর তার পছন্দের ৩ জন কর্মী মৌখিকভাবে নিয়োগ দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদে। নামে মাত্র সচিব তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চেয়ারম্যান তার নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীর মাধ্যমে টাকা জমা নেয়ার পর মোবাইলে ই-ফাইলিং ব্যবহার করে সচিবকে জন্ম নিবন্ধন সনদসহ যাবতীয় সনদ সরবরাহের অনুমতি প্রদান করে। এরপর সচিব তা কম্পিউটারে প্রিন্ট দিয়ে সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করেন। ইতিমধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ ফি ২০০ টাকা নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছেন চেয়ারম্যান খোকন। ভূক্তভোগী মোজাম্মেল হক জানান, তার ছেলের ইউনিক আইডির ডাটাবেজ তৈরি জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন জরুরী প্রয়োজন। সে মোতাবেক ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্র গিয়ে ৫০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করেছে। আবার ৫০ টাকা ফি দিয়ে চেয়ারম্যানের নিযোগপ্রাপ্ত কর্মীর নিকট আবেদন জমা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ১৫দিন পর আরও ১০০ টাকা নিয়ে যেতে বলেছে, তারপর জন্ম নিবন্ধন সনদ দিবে। ইউপি সদস্য মিঠু মিয়া জানান, তিনি ৩য় বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য। বিগত ১০ বছর তিনি ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় কাযক্রম বিধি মোতাবেক পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে, তার মনগড়া নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পরিচালনা করে আসছেন। চেয়ারম্যান সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত অফিসে বসে মিটিং এবং সালিশ করেন। তিনি আরও বলেন ৫০ টাকা ফি এর জন্মনিবন্ধন নিচ্ছেন ২০০ টাকা। তাও আবার ১৫দিন পর সরবরাহ করছেন। এনিয়ে ইউপি সদস্যদের সাথে প্রতিনিয়ত চেয়ারম্যানের সাথে বাকবিতন্ডা হচ্ছে। ইউপি সচিব খাইরুজ্জামান জানান, জন্মনিবন্ধন সনদ বাবদ অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায়, উপজেলা নিবার্হী অফিসারের মৌখিক ভাবে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছে। সে কারনে গতকাল শনিবার হতে জন্মনিবন্ধন ফি বাবদ ৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে ট্যাস্ক আদায় করছে। এ্যাসেসম্যান ছাড়া ট্যাস্ক আদায়ের নিয়ম নেই। চেয়ারম্যান নিজে ই-ফাইলিং পাঁচ ওয়ার্ড ব্যবহার করার কারনে সুবিধাভোগীগণ জন্মনিবন্ধন সনদ পেতে বিলম্ব হচ্ছে। চেয়ারম্যান এবিএম মিজানুর রহমান জানান, জন্ম নিবন্ধন ফি ৫০ টাকা এবং ট্যাক্স বাবদ ১০০ টাকা মোট ১৫০ টাকা নেয়া হয়েছিল। বর্তমান তা পরিবর্তন করে জন্ম নিবন্ধন ফি বাবদ ৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। আমি কোন প্রকার কর্মী নিয়োগ দেয়নি। জনগণের ভিড়ের কারণে অতিরিক্ত দুই জনকে সহায়ক হিসেবে কাজ করার জন্য বসিয়ে ছিলাম। বর্তমানে তাদেরকে বাদ দিয়েছি। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, জন্ম নিবন্ধন বাবদ অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জানার পর চেয়ারম্যানকে কঠোরভাবে মৌখিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com