বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন

শহরে ঈদ কেনাকাটায় বিক্রি বাড়ার সাথে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে

শহরে ঈদ কেনাকাটায় বিক্রি বাড়ার সাথে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত গাইবান্ধার মানুষ। বিপনীবিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে বাড়ছে ভিড়। বেড়েছে বেচাবিক্রিও। এ পরিস্থিতিতে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি। অনেকদিন পর মার্কেট খোলায় প্রশাসন কিছুটা শিথিল আচরণ করছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে টানা এগারো দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৫ এপ্রিল খুলেছে গাইবান্ধার দোকানপাট ও বিপণিবিতানগুলি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল দশটা থেকে বিপণিবিতান খোলেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে মার্কেট খুলে দেওয়ার পর ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেট-বিপণিবিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভীড় করছেন। সেইসাথে রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছে। দেখে মনে হয় ঈদ যেন কাল । ব্যক্তিগত যানবাহন, মোটরসাইকেল, রিকশা ইত্যাদির চলাচল আগের চেহারায় ফিরে গেছে।
সূত্র জানায়, দীর্ঘ বন্ধের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি ও প্রশাসনিক নানা শর্তে মার্কেট খোলার পর সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন কঠিন হয়ে পড়েছে। দোকানিরা কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করলেও ক্রেতারা বেপরোয়া। গত শনিবার ও গতকাল রবিবার গাইবান্ধার বিভিন্ন মার্কেট-বিপণিবিতান ঘুরে দেখা যায় মানুষের উপচেপড়া ভিড়। গাদাগাদি করে মানুষ কেনাকাটা করছেন। কেনাকাটা করতে আসাদের মধ্যে নারীর পাশাপাশি রয়েছে অনেক শিশু।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতাদের ভিড় বাড়লে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই ঝুঁকি নিয়েই কেনাবেচা করতে হচ্ছে। ক্রেতাদের ক্ষুদ্ধ করে ব্যবসা হবেনা। তাই দোকানিরা বেশি কথা বলতে রাজি নন ক্রেতাদের সাথে। সেক্ষেত্রে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিলেও কিছু করার থাকবে না।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, করোনায় এ পর্যন্ত জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন মানুষ। গত ২৪ ঘন্টায় গত শনিবার নতুন আরও ১জন সহ মোট ১ হাজার ৭২১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করা গেছে। এরমধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৬৫৩ জন এবং চিকিৎসাধীন আছেন ৪৮ জন।
তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ে স্থানীয়রা অনেকটাই অসচেতন। চলাচলে অসতর্কতা এবং নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি কেউ সঠিকভাবে মেনে চলছেন না। সাধারণ মানুষ হাঁটবাজার, দোকানপাট ও রাস্তাঘাটে অবাধে চলাচল করছেন। চলছে চায়ের দোকানে আড্ডা। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কমেছে প্রশাসনের নজরদারিও। এতে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

 

 

 

 

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com