স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সক্রামণ ঝুঁকি মোকাবেলায় গত ১০ এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে গাইবান্ধাকে অবরুদ্ধ (লক ডাউন) ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বিকেল ৬টা থেকেই জেলা শহরের সড়কগুলো এবং পাড়া-মহল্লাগুলো জনশূন্য হয়ে পড়ে এবং সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে লক ডাউন ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা শহর সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে বাঁশের কঞ্চি, গাছের গুড়ি ফেলে রেখে এবং বাঁশের বেড়া দিয়ে স্থানীয় অতি উৎসাহী লোকজন স্বতঃস্ফুর্তভাবে বেরিকেড দেয়। অনেকে এই সমস্ত বেরিকেডে বহিরাগতদের চলাচল নিষিদ্ধ লিখে হাতে লেখা পোস্টার ঝুঁলিয়ে রেখেছে। ফলে জেলা শহরসহ ও পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়কগুলো ছাড়া বেরিকেডের কারণে অন্যান্য সড়কগুলোতে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল এমনকি বহিরাগত অন্যান্য এলাকার লোকজনেরও চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই সমস্ত বেরিকেডের ফাঁক দিয়ে ওইসব মহল্লা ও পাড়ার লোকজন তাদের যাতায়াত অব্যাহত রেখেছে। এই সমস্ত বেরিকেডে স্থানীয় যুবকরা দাঁড়িয়ে থেকে অপরিচিত কাউকে মহল্লা বা পাড়া ঢুকতে বাঁধা দেয়।
শহরের প্রধান প্রধান সড়ক সংলগ্ন সকল প্রকার দোকানপাট দিনভর বন্ধ থাকে এবং পাড়া-মহল্লার দোকানপাটও বন্ধ রাখা হয়। এতে অতি প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়েও বিপাকে পড়ে মানুষ। এদিকে গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার-বন্দরগুলোতেও এই লক ডাউনের প্রভাবে যানবাহন চলাচল বহুল্যাংশে কমে গেছে এবং অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া হাট-বাজারগুলোতেও লোক সমাগম কমতে শুরু করেছে।
হাট-বাজারগুলোতেও লক ডাউন মেনে চলতে জনসমাগম না করার জন্য এবং করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্নভাবে জনসচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।