শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য স্কুল শিক্ষক আব্দুর রউফকে হত্যার ঘটনায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার আরিফ মিয়াকে গত রোববার সন্ধ্যায় সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদার রহমান জানান, ঘাতক আরিফ মিয়া পুলিশের কাছে হত্যার সাথে তার সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পারিবারিক শত্রুতার কারণে তিনি তার সহযোগীদের নিয়ে এই হত্যাকা- চালান। ইউপি নির্বাচনে আব্দুর রউফ দ্বিতীয়বার সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় আরিফের ভেতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আব্দুর রউফ যাতে আর দায়িত্ব পালন করার সুযোগ না পায় সেজন্য আরিফ পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকা- ঘটায়। পরে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জাহাঙ্গীর আলম গতকাল সোমবার বিকেলে অভিযুক্ত আরিফ মিয়াকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ (জবানবন্দির) জন্য আদালতে নিয়ে যায়। অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নজরুল ইসলাম তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করছেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য রউফ তার প্রতিবেশী রুহুল আমিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা বাড়ির কাছাকাছি একটি নির্মিয়মান কালভার্টের বাইপাস সড়কে নেমে পায়ে হেঁটে মটর সাইকেল ঠেলে নিয়ে মুল সড়কে ওঠার সময় একই গ্রামের আরিফ মিয়া ও তার সহযোগীরা পেছন থেকে লোহার রড দিয়ে আব্দুর রউফের মাথায় আঘাত করে। ফলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন আরিফ মিয়া ও তার সহযোগীরা তাকে উপর্যুপরি এলোপাথারি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় মটর সাইকেল চালক বন্ধু রুহুল আমিন চিৎকার করে লোকজনকে ডাকতে থাকে। পরে লোকজন এসে গুরুতর আহত অবস্থায় রউফকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় গত শনিবার নিহত আব্দুর রউফের বড় বোন মমতাজ বেগম বাদি হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় ১৪৩, ৩৪১, ৩২৩, ৩০২, ৫০৬, ৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা (নং ২৩) দায়ের করেন। মামলায় আরিফ মিয়ার নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৬/৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর আরিফ মিয়া পলাতক ছিল। পরে র্যাব সদস্যরা গোপন সুত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আরিফ মিয়াকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার পাঁচপীর গ্রাম থেকে গত শনিবার রাতে গ্রেফতার করেন।