বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন

রংপুর সুগার মিলে দু’বছর কাজ করা ১৭ জন ট্রাক্টর হেলপারের ১২জনকে কাজে না নেয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন

রংপুর সুগার মিলে দু’বছর কাজ করা ১৭ জন ট্রাক্টর হেলপারের ১২জনকে কাজে না নেয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মহিমাগঞ্জস্থ রংপুর সুগার মিলে দু’বছর ধরে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করা ১৭ জন ট্রাক্টর হেলপারের ১২জনকে কাজে না নেয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে অভিযোগ করছেন সদ্য বেকার হওয়া এই শ্রমিকরা । বর্তমান মৌসুমে এবছর মিল চালুর পর আরো নতুন ৩১ জনের শ্রমিক নিয়োগ করায় ক্ষুব্ধ হয়েছে বাদ পরা শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ তারা আওয়ামীলীগ মনা হওয়ায় বিএনপি পন্থি চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি কর্মকতাদের সাথে যোগসাজস ও অর্থের বিনিময়ে নিজের পছন্দের লোক নিয়োগ দিয়েছে ।
দৈনিক ২৬০ টাকা হাজিরায় ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ মাড়াই মৌসুমে রংপুর সুগার মিলস লিমিটেড এর পরিবহণ বিভাগে ট্রাকক্টর হেলপার (টি হেলপার) হিসাবে ১৭ জন শ্রমিক নিয়োগ দেয়। তারা গত ২ মৌসুমে কাজ করলেও চলতি ২০১৯-২০ মাড়াই মৌসুমে ১৭ জনের মধ্যে মাত্র ৫ জন কে নিয়োগ দিয়ে বাকী ১২ বাদ দেয়া হয়। কোন অভিযোগ ছাড়াই ১২ জনকে কাজে না নেয়ায় তারা পরিবাব পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পরেছে বলে স্থানীয়রা জানায়। সেই সাথে তাদের দাবী পুরাতন ও অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে নতুন শ্রমিক নিয়োগে নানা ধরণের সমস্যায় পড়বে চিনিকলটি ।
বাদ পরা মিল শ্রমিক এমদাদুল হক বলেন, বর্তমান রংপুর চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতিসহ চিনিকল প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাই বিএনপি পন্থি তাই আওয়ামীলীগ মনা শ্রমিকদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা কতিপয় কর্মকতাদের সাথে যোগসাজস করে অর্থের বিনিময়ে নিজেদের আদর্শের ও পছন্দের লোক নিয়োগ দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে রংপুর চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা বলেন আমার বিরুদ্ধে আনীত দলীয় বিবেচনায় ও অর্থের বিনিময়ে শ্রমিক নিয়োগ অভিযোগ সঠিক নয়। ঈর্ষাপরায়ন হয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। তবে চিনিকল পরিচালনার স্বার্থে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে নতুন টি হেলপার ও ড্রাইভার কাজ করছে তাদের দলীয় কোন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে কাজের সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে এ টি কোন স্থায়ী নিয়োগ নয়।
রংপুর সুগার মিলস্ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, চিনিকলে কোন নতুন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়নি। তবে মিলের কাজের স্বার্থে কিছু ডেইলী বেসিসে কিছু লোক কাজ করছে। তাদের কাজের দক্ষতা না পেলে বাদ দেয়া হবে। আমার জানার বাইরে কেউ অযাচিত কাজ করলে তাদের কোন মজুরী দেয়া হবে না। এ ছাড়া বাদ পরা অভিযুক্ত শ্রমিকদের কোন নথি ্আমার দপ্তরে পাইনি এবং কেউ এসে অভিযোগও করেনি।
এদিকে বাদ পড়া ১২ শ্রমিক তাদেরকে কাজে বহাল রাখার বাদীতে গত শনিবার সন্ধ্যায় মহিমাগঞ্জ আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com