বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ শুষ্ক মৌসুম এলেই সাঘাটায় যমুনায় পানি কমে যাওয়ায় এক চিরাচরিত নিয়ম। চর জেগে ওঠে নদীর বুক চিরে। কোথাও কোথাও পানি নেমে যায় হাটুর নিচে।
যমুনা পাড়ি দেওয়া যায় পায়ে হেঁটেই। নদী শ্বাসন ও ভূমি খেকোদের দখলদারিত্বের দৌরত্বে সাঘাটায় যমুনা নদী এখন নাব্যতা সংকটে। নৌ চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে। সেই সঙ্গে যমুনা পাড়ের মানুষের দূর্ভোগেরও যেন অন্ত নেই।
চরাঞ্চলের লোকজনের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পায়ে হেঁটে চলাচল করতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। চর এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার মিরগঞ্জ, ঝাড়কাটা, গুয়াবাড়ি যমুনা খেয়াঘাট নদীর উত্তর পার্শে¦ হাসিলকান্দি এলাকায় চর জেগে উঠে নৌকা চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এতে জামিরা, হাটবাড়ি, কুমারপাড়া, দেলুয়াবাড়ির লোকজন পায়ে হেঁটেই সাঘাটা সদর সহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করছেন ওই এলাকার শতশত কৃষক, তাদের উৎপাদিত ফসল- বেগুন, মরিচ, আলু, লাউ, পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন সব্জি ফসল পায়ে হেঁটে সাঘাটা বাজারে না নিয়ে আসতে পেরে উৎপাদিত ফসল নষ্ট হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা পড়েছে ভোগান্তিতে।
দেলুয়াবাড়ি গ্রামের স্কুল ছাত্রী মৌসুমি আক্তার জানান,পায়ে হেটে স্কুলে যেতে আমাদের বড় কষ্ট হচ্ছে। ধুধু বালু চর হওয়ায় পায়ে হেটে চলাচল যন্ত্রণা দায়ক বলে জানালেন একই এলাকার সাঘাটা পাইলট স্কুলের ছাত্র রফিকুল ইসলাম। কুমারপাড়া গ্রামের কৃষক রফিক মিয়ার সাথে কথা হলে জানা যায়, যানবাহন ব্যবস্থা না থাকায় উৎপাদিত ফসল হাটে নিয়ে আসতে বড়ই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কথা বলে হলে হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, এ মৌসুমে নদীতে পানি থাকে না, যে কারণে চরবাসীর কষ্টটা বেড়ে যায়। পানি হলেই নৌকা চললেই সমস্যা থাকবেনা।