মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন

মারা যাওয়ার নয় মাস পর বৃদ্ধার কবর থেকে উঠে আসার গুজব

মারা যাওয়ার নয় মাস পর বৃদ্ধার কবর থেকে উঠে আসার গুজব

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানীপাড়ার ৯৫ বছর বয়সী বাছিরন নামের এক বৃদ্ধার কবর দেয়ার ৯ মাস পর ফিরে আসার গুজব গতকাল বুধবার ছড়িয়ে পড়ে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মৃত বাছিরনের ফিরে আসার গুজবে তার মেয়ে মাজেদা বেগমের বাড়িতে লোকজনের ভীড়ও বাড়তে থাকে।
গাইবান্ধা রেল স্টেশন সংলগ্ন উত্তর পাশে ডেভিড কোম্পানীপাড়ার মৃত আনিছুর রহমানের স্ত্রী মাজেদা বেগমের বাড়িতে বাছিরনকে এক নজর দেখতে মানুষের ভীড় উপচে পড়ে। তিনি ওই মহিলাকে নিজের মা দাবি করে বলেন, গত ৯ মাস আগে আমার মা মারা যান। তাকে গাইবান্ধা পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে আমার মা স্টেশনে এসে ভাই গেদাকে খোঁজ করেন। পরে লোকজন গেদাকে খুঁজে এনে মায়ের সাথে দেখা করিয়ে দেন। আমি খবর পেয়ে স্টেশনে গিয়ে মাকে বাসায় নেয়ার চেষ্টা করলে তিনি রাজি হননি। আমরা সারারাত তার সাথে স্টেশনে কাটাই। পরে গতকাল বুধবার সকাল ৭টায় বাড়িতে এসে তার থাকা ঘরে প্রবেশ করেন। তিনি নাতি-নাতনিদেরকেও নাম ধরে ডাকেন। একপর্যায়ে লোকজনের ভীড় সামলাতে পুলিশ এসে কথিত ফিরে আসা বাছিরনকে থানায় নিয়ে যায়।
এব্যাপারে স্থানীয় শফিকুল ইসলাম রুবেলসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, ৯ মাস আগে আমরা মাজেদা ও গেদার মা বাছিরন বেওয়াকে কবরস্থ করেছি। তার ফিরে আসার প্রশ্নই ওঠে না। এর পেছনে কোনো রহস্য রয়েছে। গাইবান্ধা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ডেভিড কোম্পানীপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর কবির বাদল বলেন, যে মানুষকে কবর দেয়া হয়েছে তার ফিরে আসা অবাস্তব। এটা তার ছেলেমেয়ের কোনো অসৎ উদ্দেশ্যের কারসাজি হতে পারে।
এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, আনুমানিক ৬০/৬৫ বছরের ওই মহিলা খুলনা জেলা থেকে গাইবান্ধায় এসেছেন। তিনি বেশ দুর্বল, বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেন না। তার নাম পদ্ম বলে তিনি জানান। রেল স্টেশন সংলগ্ন বাড়ির মাজেদা বেগম তাকে তার মায়ের মত দেখতে মনে হলে কাছে গিয়ে মা ডাকেন। এরপর বেশকিছু সময় কথাবার্তা বলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর ওই বৃদ্ধাকে মাজেদা বেগম ও তার বড় ভাই গেদা নিজের মা বলে প্রচার করলে এলাকার লোকজন তাকে দেখার জন্য ভীড় করতে থাকে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com