স্টাফ রিপোর্টারঃ এক সময় বর্ষা কিংবা বন্যার পানিতে দাঁড়কি পাতানোর ব্যাপক প্রচলণ ছিলো। বাঁশের তৈরি এই দাঁড়কি পানিতে শাড়িবদ্ধ ভাবে পেতে রাখা হত। সকালে পাতলে বিকালে অথবা রাতে পাতলে পরদিন সকালে তা ঝেড়ে এক কোনা দিয়ে মাছ পাওয়া যেত। প্রায় প্রতি গ্রামেই মাছ ধরার এই বাঙলা হাতিয়ারটি ব্যবহার হত। এই দাঁড়কিতে পড়ত ছোট মাছ। যেমন দাড়কে, মলা, খলশে, পুটি, চিংড়ি, চেঙটি, শিং ও চাঁদা সহ ছোট মাছ। খুব সকালে এই ছোট মাছ কেনার জন্য লোকজন বিলে ধারে ভীর করত। কালের আবর্তে এসব প্রচলন হারিয়ে গেছে। এমন দৃশ্য তেমন আর চোখেই পড়ে না। অবশ্য কালে ভর্দে পল্লীতে দাঁড়কি বানানোর দৃশ্য চোখেও পড়ে। এরই মাঝে সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া বাজারের পাশে যদিষ্টি চন্দ্র নামের একজনকে এই দাঁড়কি তৈরির কাজ করতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, বর্ষা আসছে। তাই মাছ ধরতে নিজেদের জন্যই বানাচ্ছি এই দাঁড়কি।