রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন
ফুলছড়ি প্রতিনিধি: ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ঘেঁষা কয়েকটি গ্রামের শতাধিক পরিবার দিন কাটাচ্ছেন নদীভাঙনের আতঙ্কে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও শুরু হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও বসতবাড়ি, বিদ্যালয়, মসজিদসহ নানা স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ফুলছড়ির উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া থেকে কটিয়ারভিটা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা, উত্তর উড়িয়া, কালাসোনা, জোড়াবাড়ি, কাবিলপুর গ্রাম।
এলাকাবাসী জানায়, গত বছরও ভাঙনে শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছিল। এবারও সেই পুরোনো আতঙ্ক ফিরে এসেছে। অব্যাহত ভাঙনে ঝুঁকিতে পড়েছে কটিয়ারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর কালাসোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উড়িয়া কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ কালিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দরিয়ার ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়েক শতাধিক বসত বাড়ি, একটি বাজার, কবরস্থান, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও আবাদি জমি।
একাধিকবার ভাঙনের শিকার এসব নদী পাড়ের মানুষ আবারো বসতভিটা ও বাড়িঘর হারানোর ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, গত বছর আমাদের অনেকের বাড়িঘর নদীতে চলে গেছে। এবার আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দফতরে জানিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো কাজ শুরু হয়নি।
কটিয়ারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লিপি রানি জানান, কয়েকদিনের ভাঙনে বিদ্যালয়টি এখন ঝুঁকির মধ্যে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় এটি নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।
ভাঙনের কথা স্বীকার করে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল হক জানান, ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হচ্ছে। পাশাপাশি ভাঙন প্রবণ এলাকাগুলোতে স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বর্ষা এলেই নদী ভাঙনে ভিটে মাটি হারানোর আতঙ্কে পড়েন গাইবান্ধার ব্রক্ষপুত্র নদের ফুলছড়িসহ ৩ উপজেলার হাজার হাজার নদী তীরবর্তী মানুষ।