শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপরেঃ গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপরেঃ গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি কিছুটা কমলেও তিস্তা এবং করতোয়া নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এদিকে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি কমলেও সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকার বসতবাড়ি একটানা দীর্ঘদিন পানিতে নিমজ্জিত থাকায় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষরা চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছে। বিশেষ করে কাঁচা ঘরবাড়িগুলো বন্যার পানিতে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং পানির স্রোতে ভেসে যাওয়ায় তারা বিপাকে পড়েছে। এদিকে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া লোকজনরা এখনও বসতবাড়িতে ফিরে যেতে পারছে না। যেসব স্থানে মানুষজনরা আশ্রয় নিয়ে আছে সেখানে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সরকারি ত্রাণ তৎপরতা অপ্রতুল হওয়ায় এসব পরিবার তেমন কোন সহায়তা পায়নি। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এবারের বন্যায় ৩ হাজার ১১৬ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। একনাগারে দীর্ঘদিন এসব ফসল পানির নিচে থাকায় কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে পানি নেমে যাওয়ার পর তা বোঝা যাবে।
এদিকে বন্যার স্রোতে নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাওয়ায় সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দি, গোবিন্দপুর, পাতিলাবাড়ি, নলছিয়া, কালুরপাড়া ও বেড়া গ্রামের দু’শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত বুধবার দুুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৬৯ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সে.মি. উপর দিয়ে বইছে। অপরদিকে করতোয়া এবং তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে। করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ি উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা নতুন করে আবার বন্যা আতংকে রয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com