স্টাফ রিপোর্টারঃ ইতোমধ্যে পাঁচটি নৌযান নিলামে বিক্রি করা হয়েছে এবং অবশিষ্টগুলো বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে, যার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গাইবান্ধা রেলওয়ের মেরিন বিভাগের পরিদর্শক মাজদার রহমান বলেন, ফেরিসহ এখানে মোট ১১টি নৌযান ছিল। তার মধ্যে পাঁচটি বিক্রি হয়েছে। পাঁচটির একটি ঢাকার মিরপুরের পূর্ব আহম্মদ নগর এলাকার মের্সাস জেআর এন্টারপ্রাইজ কিনে নিয়েছে। জিওয়ান নামে এই ফেরিটি ৭৬ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বলে শুনেছি। জিওয়ানের ওজন আনুমানিক ৫০০ মেট্রিকটন।
অন্য চারটি নৌযান সম্প্রতি নিলামে বিক্রি করা হলেও এখনও হস্তান্তর করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, সেগুলো বালাসিঘাটে রয়েছে হস্তান্তরের অপেক্ষায়।
রেলওয়ের গাইবান্ধা মেরিন বিভাগের অতিরিক্ত সুপার ও রেলওয়ে লালমনিরহাট অঞ্চলের যন্ত্র প্রকৌশলী রাসেল আলম। তিনি বলেন, “মাত্র পাঁচটি বিক্রি করা হয়েছে। অবশিষ্ট ছয়টি বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে। হয়ত দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে বিক্রির আদেশ হয়নি।
হয়ত বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন তা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “রাজশাহীর প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে দরপত্র আহ্বান ও বিক্রি করা হচ্ছে এসব। সেখানকার কর্তৃপক্ষ সবকিছু জানে।
রাজশাহীর প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক রাশেদুল হাসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফোনে তথ্য দেওয়া যাবে না।
এখানে গোপনীয়তা অবলম্বন করা হচ্ছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি আর কিছু বলতে চাননি।
লালমনিরহাটের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ ফোনে বলেন, এসব নৌযান রেলওয়ের প্রয়োজন নেই। এগুলো রেলের কোনো কাজে লাগছে না। চলাচলেরও উপযোগী নয়। নৌযানগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নৌপথও চালু নেই। তাই এসব নৌযান বিক্রি করা হচ্ছে।
সম্প্রতি গাইবান্ধায় বালাসিঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, যমুনা তীরে কিছু নৌযান দাঁড়িয়ে রয়েছে। স্থানীয় শিশুরা সেখানে খেলাধুলা করছে। এর পাশ ঘেঁষে নৌকা চলাচল করছে। বর্তমানে সাত-আটজন কর্মচারী বালাসিঘাটের নৌযানগুলো পাহারা দিচ্ছেন।
নিরাপত্তাকর্মী মণীন্দ্রনাথ বলেন, তারা কয়েকজন এগুলো পাহারা দেন। এর বেশি কিছু জানেন না। তবে রেলওয়ের রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল থেকে এসব নৌযান নিলামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে শুনেছি। যারা কিনছেন তাদের লোকজন মাঝে মাঝে এসে এগুলো নিয়ে যাচ্ছে।
নিরাপত্তাকর্মীদের বাবুর্চি হাকিম আলী নৌযান নিলামে বিক্রির কথা শুনেছেন বলে জানান।
গাইবান্ধা রেলস্টেশনের মাস্টার আবুল কাশেম বলেন, ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৮ সালে তিস্তামুখঘাট-বাহাদুরাবাদ নৌপথ চালু করে। এপাড়ে ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ ঘাট আর ওপারে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ঘাট। ১৯৯০ সালে তিস্তামুখ ঘাট একই উপজেলার বালাসিতে স্থানান্তর করা হয় বলে জানান আবুল কাশেম।