মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ দেহজুড়ে ১৬টি ছররা বুলেটের আঘাত সেরে উঠলেও, ডান হাতে এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন ব্যথার তীব্র যন্ত্রণা। শরীরে দুইবার অস্ত্রোপচারের গভীর ক্ষত শুকিয়ে গেলেও হাতটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে তার। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাতের তীব্র ব্যথা তার স্বাভাবিক জীবনকে দুর্বিষসহ করে তুলেছে। সেই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে গাইবান্ধা শহরের এসকেএস হাসপাতালের ফিজিওথেরাপি সেন্টারে গত তিন সপ্তাহ ধরে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন সাংবাদিক জাভেদ হোসেন। চিকিৎসকরা বলছেন তার ডান হাত দিয়ে স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করতে পারবেন কিনা তা এখনো রয়ে গেছে অনিশ্চিত।
গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঘোষিত দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে গাইবান্ধায় রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা। তারা মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের বাগবিত-া শুরু হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় তিন সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে তিন সাংবাদিককে ভর্তি করা হয় গাইবান্ধা শহরের এসকেএস হাসপাতালে। সেখানে ঢাকা পোস্টের সাংবাদিক রিপন আকন্দের শরীর থেকে দুটি, বার্তা বাজারের সাংবাদিক সুমন মিয়ার শরীর থেকে পাঁচটি ও ঢাকা টাইমসের জাভেদ হোসেনের শরীর থেকে ১৪টি ছররা গুলি বের করা হয়। পরে এক্সরে রিপোর্টে দেখা যায় সাংবাদিক জাভেদ হোসেনের ডান হাতে আরও দুটি গুলি রয়েছে। এরপর সপ্তাহখানেক পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার ডান হাতের কব্জি থেকে দুটি ছররা গুলি বের করা হয়। অপারেশনে গুলি অপসারণ হলেও এখন পর্যন্ত তীব্র ব্যথায় জর্জরিত তার ডান হাত। ভারী কিছু তোলা তো দূরের কথা মোটরসাইকেল চালাতেও কষ্ট হয় সাংবাদিক জাভেদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার ডান হাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক, যা ভবিষ্যতে তার সাংবাদিকতার ক্যারিয়ারে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।