বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বৃষ্টি হলেই হাটু ও গিটা পানি জমে যাচ্ছে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার বেশির ভাগ সড়কে। মহল্লার ভিতরের সড়কগুলোতে পানি নিস্কাশনের ড্রেন বা নালা না থাকায় পানি নেমে যেতে দীর্ঘ সময় লাগছে। সে কারণে স্কুল-কলেজগামী ছেলে-মেয়েসহ মহল্লাবাসিকে চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। ভারী বর্ষণ হলেই দুই হতে তিন দিন স্কুলে যেতে পারছেন না ছেলে-মেয়েরা। বিশেষ করে ৮ নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়া ও ৯ নং ওয়ার্ডের আলুটারী মহল্লার সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে নাকাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে লাইটিং ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে পৌর শহরে ভূতুড়ে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিত্বে লাইটিং ও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন মহল্লাবাসি।
বর্ষাকাল আসলেই পৌরবাসির কষ্টের সীমা থাকে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে যায় পানি। ড্রেন বা নালা না থাকায় সেই পানি নেমে যেতে সময় লাগে কমপক্ষে দুই দিন বললেন কলেজ পাড়ার বাসিন্দা নিমাই ভট্টাচার্য। তার দাবি কে শুনেন কার কথা? দীর্ঘদিন হতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিকট পানি নিস্কাশনের জন্য আবেদন করেও কোন লাভ হয়নি। কাউন্সিলরগণের ভাষ্য ছিল বরাদ্দ পেলে কাজ করা হবে। সড়কে পানি জমে থাকার কারণে পায়ের জুতা হাতে নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে স্কুলগামী শিশু শিক্ষার্থীদের জামা-কাপড় প্রতিদিন ভিজে নষ্ট হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পৌর প্রশাসক ও প্রতিনিধিগণের নিকট জোর দাবি জানান তিনি।
একই দাবি করে আলুটারী মহল্লার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সড়কের ধারের জামির মালিকগণ পানি নেমে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় আলুটারী সড়কে হাটুপানি জমেই থাকে মাসের পর মাস। ওই সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচলের কোন সুযোগ নেই । মহল্লাবাসি বর্ষাকালে বিকল্প সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামলা করেছেন।