শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন

বাসদ মার্কসবাদী পাঠচক্র ফোরামের বিক্ষোভ মিছিল

বাসদ মার্কসবাদী পাঠচক্র ফোরামের বিক্ষোভ মিছিল

স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনা ও বন্যায় বিপন্ন মানুষদের রক্ষায় রাষ্ট্রীয় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে বাসদ (মার্কসবাদী) গাইবান্ধা জেলা পাঠচক্র ফোরামের উদ্যোগে গতকাল বুধবার জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সদস্য সচিব মনজুর আলম মিঠু, জাহিদুল হক, চপল সরকার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গাইবান্ধাসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে পানিবন্দী ছিল এবং ঘরবাড়ি পানির নিচে ডুবেছিল। কোথাও কোথাও নদী ভাঙনে ভিটেমাটিসহ সবকিছু হারিয়ে মানুষ ছিন্নমূল হয়ে পড়েছে। গরু-ছাগল-হাস-মুরগিসহ বাড়িতে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র-স্কুল-কলেজ অথবা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিল। করোনা চলাকালিন সময়ে এই বন্যা পরিস্থিতি মানুষকে মহাবিপদে ফেলে দিয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। সরকারি সাহায্য নেই বললেই চলে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি উদ্যোগে অন্য সময়ে সামাজিকভাবে অসহায়দের জন্য যে সহযোগিতার হাত বাড়ানো হতো, করোনাকালে সেটাও নেই। বক্তারা দ্রুত বন্যা দুর্গতদের মাঝে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ এবং প্লাবিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষী, ডেইরি ও পোল্ট্রি খামারিদের বিশেষ প্রণোদনা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সেইসাথে নদী ভাঙন ও বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কার্যকর সরকারি উদ্যোগও দাবি করেন।
এছাড়াও প্লাবিত এলাকায় কৃষকদের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ফলে আমন মওসুমে বীজ সংকটে পরবে কৃষকরা। এ পরিস্থিতিতে সরকারি উদ্যোগে দ্রুত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বীজতলা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চারা বীজ সরবরাহের দাবি জানান। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা ও দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। বন্যার আগেই মেরামত না করার কারণে বেশিরভাগ বাঁধ ভেঙ্গে যায়। ফলে প্রতি বছর বর্ষা মওসুম আসার আগেই দেশের সকল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামত করে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রচার মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে। নেতৃবৃন্দ বন্যা প্রবণ এলাকায় পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বন্যা পরবর্তীতে পরিকল্পিত উদ্যোগে প্রয়োজনীয় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। সেইসাথে বক্তারা বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষদের সহায়তার জন্য সমাজের বিবেকবান মানুষদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com