শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০১ অপরাহ্ন

বানভাসি এলাকায় বসেছে খড়ের হাটঃ কেজি ২০ টাকা

বানভাসি এলাকায় বসেছে খড়ের হাটঃ কেজি ২০ টাকা

স্টাফ রিপোর্টারঃ বানভাসী এলাকায় বসেছে খড়ের হাট বা বাজার। এই হাটে শুধু বিক্রি হয় গো-খাদ্য খড়। বানভাসি মানুষ তাদের একমাত্র সম্বল গরুর খাদ্য যোগাতে পানির দামে নিজেদের হাঁস-মুরুগি-ছাগল বিক্রি করে খড় কিনছেন গরুর পেটের খোরাক যোগাতে।
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলাসহ চার উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে ঘরবাড়ি থেকে এখনো পানি নেমে যায়নি। মানুষ এখনো আশ্রয় কেন্দ্র বা উঁচু জায়গা থেকে বাড়ি ফিরে যেতে পারেনি।
কামারজানি ইউনিয়নের খারজানি চরের অবস্থা আরও কাহিল। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির জানান দীর্ঘদিন বানের পানি স্থায়ী হওয়ায় নিজের সংরক্ষিত খড়ের ঢিবিতে পানি পড়ে পচে গেছে। যা এখন গো-খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করার উপযোগি নয়। এলাকার সবগুলো চারণ ভূমি বেশ কিছুদিন পানিতে ডুবে থাকায় ঘাসও পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বন্যার্তরা গবাদী পশুর খাদ্য নিয়ে মহাসংকটে পড়েছে।
বন্যায় চরবাসীরা কোনমতে ভেলা বা চৌকি উঁচু করে রাতদিন কাটালেও গবাদী পশুকে উঁচু স্থানে নিয়ে আশ্রয় দিয়েছে। নিজের খাবার কোনোভাবে যোগাড় করা গেলেও গো-খাদ্য নিয়ে তাদের মাথা খারাপ অবস্থা। বিশেষ করে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে যারাবিক্রির জন্য গরু পালন করছিলেন তাদেরই দুশ্চিন্তা বেশি। তারা পানির দামে নিজেদের হাঁস-মুরগি বিক্রি করে গরু বাঁচাতে মরিয়া হয়ে খড় কিনছে।
চর গুপ্তমনির বাসিন্দা মহসিন আলী। তার ঘরবাড়ি সব হাঁটু পানিতে। গবাদী পশু নিয়ে উঠেছেন একটি আশ্রয় কেন্দ্রে । নিজের খাবার থাকলেও নেই গরুর খাদ্য- তাই হাঁস-মুরগি-ছাগল কম দামে বিক্রি করে গরুর জন্য খড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। গবাদী পশু খাদ্য খড়ের হাট বসেছে বিভিন্ন স্থানে। ২০ টাকা কেজি হিসাবে ৮ শ টাকা মণ দরে খড় বিক্রি হচ্ছে নদীর তীরে কামারজানি, বালাসীঘাট, দাড়িয়াপুর, সুন্দরগঞ্জের বেলকা, চন্ডিপুর, সাঘাটা বাজার ও গাইবান্ধায়। চরাঞ্চল থেকে নৌকা নিয়ে বানভাসী মানুষ খড় কিনতে আসছেন। চারণ ভূমি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গরু বাঁচাতে তাদের গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থান থেকে খড় সংগ্রহ করতে হচ্ছে চড়া দামে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com