বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন

বাদামে ভরে উঠেছে তিস্তার বালুচর বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা

বাদামে ভরে উঠেছে তিস্তার বালুচর বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ চরাঞ্চলের বাদাম, ভূট্টা, রসমঞ্জুরির ঘ্রন-এই হচ্ছে গাইবান্ধার প্রাণ। তিস্তার ধূ-ধূ বালুচরে চলতি মৌসুমে বাদামে ভরে উঠেছে এবং বাম্পার ফলনও দেখা দিয়েছে। বাদামসহ নানাবিধ ফসলে যেন তিস্তার চরাঞ্চলকে সবুজের আবরনে ঢেকে দিয়েছে। জমি জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো পুর্নরায় চরে ফিরে এসে চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে। দীর্ঘদিন পর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়া জমির ফসল ঘরে তুলতে পেরে খুশি কৃষকরা। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত রাক্ষুসি তিস্তা নদী এখন আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। চরাঞ্চলের হাজারও একর জমিতে এখন চাষাবাদ করা হচ্ছে নানাবিধ প্রজাতির ফসল। বিশেষ করে ধান, তোষাপাট, ভুট্টা, আলু, বেগুন, মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন, টমেটো, বাদাম, তরমুজ, তামাক, কুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষাবাদ করা হচ্ছে। কথা হয় হরিপুর ইউনিয়নের মাদারীপাড়া গ্রামের একরামুল হকের সাথে। তিনি বলেন, এ বছর বাদামের আবাদ ও ফলন ভাল হয়েছে।
তিনি নিজে ৪ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৮ হতে ৯ মন বাদাম পাওয়া যায়। স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় চরের কৃষকরা এখন বাদাম চাষে ঝুকে পড়েছে। তিনি বলেন, বাদামের দামও এখন ভাল। চার বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি বাদাম ১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে প্রতি মন বাদামের দাম হচ্ছে ৪ হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১৮০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, চরাঞ্চলের জমিতে এখন ভাল ফলন হয়। সে কারণে চরের মানুষ এখন অনেক খুশি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ এ কে এম ফরিদুল হক জানান, পলি জমে থাকার কারণে চরের জমি অনেক উর্বর। যার কারণে যে কোন প্রকার ফসলের ফলন ভাল হয়। তিনি বলেন, চরের কৃষকরা নিজে পরিজন নিয়ে জমিতে কাজ করে। সেই কারণে তারা অনেক লাভবান হয়। চরের জমি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com