মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
স্টা রিপোর্টারঃ নিভৃত গ্রামাঞ্চল। চারপাশে সবুজের অরণ্য। মাঝখানে মরা নদীর দ্বীপ। সেখানে বাস করেন একাধিক পরিবার। পাশে থৈথৈ পানি। নেই যোগাযোগ ব্যবস্থা। চলাচলে একমাত্র ভরসা ড্রামের ভেলা। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার। একইসঙ্গে নেই রাস্তাও। চলতে হয় কৃষি জমির আইল দিয়ে। সবমিলে ভোগান্তির শেষ নেই দ্বীপচরের মানুষদের। এ পরিস্থিতে দ্বীপের সন্তানদের সঙ্গে বিয়ে করাতে নারাজ অনেকে। ফলে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতে অনেকটা বেগ পেতে হয় বলে জানালেন এখানকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম।
সম্প্রতি সরেজমিনে সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর-পুরান লক্ষীপুর এলাকায় দেখা গেছে- অদ্ভুদ এক ভোগান্তির চিত্র। এখানকার মরা নদীর বকশীরদহর পানির ওপর দিয়ে ড্রামের ভেলায় ঝুঁকি নিয়েঁ পারাপার হচ্ছেন বেশ কিছু নারী-পুরুষ। এমন দুর্ভোগই নিত্যসঙ্গী বলে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর ঘেসে একটি গ্রামের নাম পুরান লক্ষীপুর। একসময় এর পাশ দিয়ে বয়েছিল ঘাঘট নদী। ইতোপূর্বে এই নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় সৃষ্টি হয় মরা নদীতে। এখন এটি বকশীর দহ নামে অনেকে চেনেন এবং জানেন। বকশীর দহ ওপার ঘেসে দ্বীপে বসবাস করেন বেশ কিছু পরিবার। তারা যুগযুগ ধরে বসবাস করে আসলেও তাদের নেই রাস্তাঘাট। সেইসঙ্গে বকশীর দহর পানির ওপর দিয়ে চলাচলা ছাড়াই নেই কোন বিকল্প রাস্তা। নিত্যদিন ড্রামের ভেলা দিয়ে চলতে হয় বিভিন্ন স্থানে। এই ভেলায় ওপারে পৌঁছিয়ে হেঁটে যেতে হয় জমির আইল দিয়ে। এতে করে চরম দুভোর্গের শিকার হচ্ছে শত শত মানুষ।