শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রির্পোর্টারঃ ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, রাস্তাঘাট, শপিংমলসহ কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দুরত্ব, বেশিরভাগ মানুষ পড়ছে না মাস্ক।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার দিনদিন বেড়েই চলছে, তারপরেও মানুষের মাঝে নেই কোন সচেতনতার রেশ। সম্প্রতি জীবন ও জীবিকার তাগিদে লকডাউন তুলে নেওয়ার ফলে আগের মতই চলছে মানুষের চলাফেরা । কেউ মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। অনেকেই আবার জীবিকার তাগিদে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই ঘরের বাইরে মাস্ক ছাড়াই দেধারছে চলাফেরা করছে। মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে নানা অজুহাত শোনাচ্ছেন তারা।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনায় সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। অনেক ব্যবসায়ী স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব না মেনে অধিক রাত পর্যন্ত তাদের দোকান খোলা রাখছেন।
ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুজ্জামান স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরার বিষয়ে বলেন, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের হওয়া যাবে না। বিশেষ প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, অন্যথা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে।
গত ৩০ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংক্রমণ প্রতিরোধ আইন ২০১৮ অনুযায়ী, ঘরের বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে সবসময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা নাহলে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন, ২০১৮ এর ধারা ২৪ (১), (২) ও ধারা ২৫ (১) ও (২) অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর এই আইন বাস্তবায়ন করবে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষ। আইনের এই ধারা অনুযায়ী কেউ যদি মাস্ক না পরে বের হন, তাহলে তিনি ৬ মাস জেল অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দ-ে দন্ডিত হবেন। এছাড়া কেউ যদি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাঁধা প্রদান করেন বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন তাহলে তিন মাসের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দ-িত হবেন।
এলাকার সচেতনমহল উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।