মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২২ অপরাহ্ন
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাধীন কামদিয়া খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । তাছাড়া খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহ করতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন কৃষকরা ।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া খাদ্য গুদামের সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান যোগদানের পর থেকেই প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান-চাল ক্রয় না করে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করছেন নিম্নমানের ধান-চাল। ফলে কৃষক তার উৎপাদিত ধান-চালের সরকার নির্ধারিত বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে লোকসান গুনছেন। শুধু তাই নয়, সরকারি গুদাম থেকে সরবরাহ করা চালের বস্তায় পরিমাণে কম দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
গুদামের সব অনিয়ম বন্ধ করে সুষ্ঠুভাবে নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য গুদামের কার্যক্রম পরিচালনা এবং ওই কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় কৃষক ও মিল মালিকরা। খাদ্য গুদামে কৃষক ও মিল মালিকদের হয়রানি বন্ধের দাবি তাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চাল কল মালিক বলেন, খাদ্য গুদামে অভিযান চালালেই বেড়িয়ে আসবে নিম্নমানের ধান-চাল। তাছাড়া যেসব ধান ক্রয় করা হয়েছে-সে সম্পর্কে স্থানীয় কৃষকরা কিছুই জানেন না। বিভিন্ন ভাবে তাদের ভোটার আইডি সংগ্রহ করে এসব অবৈধ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহবায়ক এমএ মতিন মোল্লা বলেন, সরকার কৃষকদের কল্যাণে অনেক কিছু করে থাকে। অথচ খাদ্য গুদামের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার কারণে এসব খেটে খাওয়া কৃষকরা তাদের ধান সরকারি দামে বিক্রি করতে পারেনা। তারা তাদের ন্যায্য অধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম রফিক এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তিনি খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে নিজেই প্রায় ১২ থেকে ১৪টি চালকলের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম রফিক বলেন, সরকারের দেয়া বরাদ্দকৃত চাল দিতেই হিমশিম খেতে হয়। আমার একটি অটো রাইচমিল। তবে তার বিরুদ্ধে গুদাম থেকে বিশেষ সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ প্রসঙ্গে খাদ্য পরিদর্শক ও খাদ্য গুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, কিছু চাল কল মালিক নিজেদের চাহিদা মতো ধান-চাল সরবরাহ করতে না পারায় এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন। আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়ভার আমার ওপর চাপানো হচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়তই আমাকে এসব ঝামেলা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তবে কিছু এদিক-সেদিক হতেই পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সোহান বলেন, এমন কর্মকান্ডের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে সে বিষয়ে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।