রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ন

পেনশন আটকে থাকা শিক্ষকের অর্থাভাবে ছেলের চিকিৎসা বন্ধ

পেনশন আটকে থাকা শিক্ষকের অর্থাভাবে ছেলের চিকিৎসা বন্ধ

সাদুল্লাপুর প্রতিনিধি: নিভৃত এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জালাল উদ্দিন। চাকরি করছিলেন এমপিওভূক্ত দাখিল মাদরাসায়। এরই মধ্যে তার ছেলে ইয়াহিয়া সরকার (২৮) জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। এ ছেলের চিকিৎসাসেবায় নিঃশ্ব পরিবারটি। ইতোমধ্যে নষ্ট হয়েছে হার্টের দুইটি ভাল্ব। সুস্থ করাতে দরকার ৪ লাখের বেশি টাকা। তুলতেও পারছেন না আটকে থাকা সেই পেনশনের টাকা। ফলে বন্ধ রয়েছে ছেলের সুচিকিৎসা। এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ইয়াহিয়া।
গতকাল সোমবার দুপুরে সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামে দেখা গেছে- জালাল উদ্দিনের পরিবারে অসহায়ত্বের দৃশ্য। রোগাক্রান্ত ইয়াহিয়াসহ সবার মলিন মুখ। চরম হতাশার চোখে তাকিয়ে তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাদুল্লাপুরের চকশালাইপুর দাখিল মাদরাসায় জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন জালাল উদ্দিন। স্ত্রীসহ দুই ছেলে ও দুই মেয়ের নিয়ে তার ৬ সদস্যের পরিবার। চাকরিরত অবস্থায় যেটুকু বেতন-ভাতা পেতেন তা খেয়ে-পড়েই শেষ। নেই কোন গচ্ছিত টাকা কিংবা সহায় সম্পদ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অবসরে গেছেন জালাল উদ্দিন। কল্যাণ ট্রাস্ট ও পেনশনের টাকা পাবার জন্য আবেদন করেছেন। এরই মধ্যে তার ছেলে ইয়াহিয়া সরকার জটিল রোগে আক্রান্ত। তার ওষুধের টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে শিক্ষক জালাল উদ্দিনকে। বিভিন্নভাবে ঋণ করে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। এরপর ঢাকার উত্তরায় কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেওয়া হয়। এখানকার চিকিৎসক ডাঃ ইব্রাহীম জানিয়েছেন ইয়াহিয়ার দুইটি ভাল্ব নষ্ট হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসা জরুরি। এতে মোটা অংকের টাকা ব্যয় করতে হবে। ইতোমধ্যে এই ছেলেকে সুস্থ করার চেষ্টায় একিবারে নিঃশ্ব হয়েছে পরিবারটি। এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ছেলেকে বাঁচাতে দানশীল ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা চাচ্ছেন ইয়াহিয়ার বাবা-মা।
এ বিষয়ে চকশালাইপুর দাখিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত জুনিয়র শিক্ষক ও ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন বলেন, আমার ছেলে ইয়াহিয়া সরকার এখন মূমুর্ষ অবস্থায় বাড়িতে শয্যাশায়ী। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। এছাড়া এক মেয়েকে পাত্রস্থ করানোর পর তার উপহার সামগ্রীও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি পেনশনের টাকাও আটকে আছে। যেন মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ছেলেকে সুস্থ করতে মানবিক ব্যক্তিদের সহযোগীতা কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com