বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় পুরাতন ছেড়া ফাটা বস্তা শেলাই করে জীবন সংসার চলছে ৫০০পরিবারের। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বস্তা সেলাই করেন এসব নারী-পুরুষ। যে যত হাত চালাতে পারেন তার উপার্জন তত বেশি। একসময় বেকার থাকলেও এখন বস্তা শেলাই করে সচ্ছল হয়েছেন তারা। পুরাতন বস্তার চাহিদাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বস্তার মহাজনরা এ শিল্পের প্রসার ঘটাতে চান সরকারি সহযোগীতা। তবে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন বিসিক কর্তৃপক্ষ।
গাইবান্ধায় পুরাতন বস্তার চাহিদা থাকায় ছেড়া-ফাটা বস্তা শেলাই করে ব্যবহার উপযোগী করতে জেলায় গড়ে উঠেছে শতাধিক বস্তার দোকান। কৃষি নির্ভর এই এলাকার মানুষ বছরের বেশীর ভাগ সময় বেকার থাকলেও এখন বস্তা সেলাই করে সচ্ছল তারা। ধান, চাল, গম, ভূট্টা, আলু,পটলসহ বিভিন্ন ফসলের মৌসুমসহ বছর জুড়েই চাহিদা রয়েছে পুরাতন বস্তার। প্রতিদিন সকাল হলেই এসব দোকানে পুরাতন বস্তা শেলাইয়ের কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত হয়ে পড়েন শত শত শ্রমিক। যুবক থেকে বৃদ্ধ সবাই সেলাই করেন ছেঁড়া পাটের বস্তা।
বাড়ীর কাজের ফাকে বস্তা শেলাই করে বাড়তি আয় করা হয়। এতে ছেলেমেয়ের পড়ালেখার খরচ ও সংসারে স্বাবলম্বী হচ্ছে তাদের।
বস্তার চাহিদা মেটাতে স্থানীয়ভাবে ও বিভিন্ন জেলা থেকে নতুন ও পুরনো বস্তা সংগ্রহ করে শ্রমিকদের দিয়ে ছেঁড়াফাটা এসব বস্তা সেলাই করে ব্যবহার উপযোগী করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রী করা হয।
শত শত নারী পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী এসব বস্তা শেলাইয়ের উদ্যোক্তাদের ঋণ সহযোগীতা চাইলে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন এই বিসিক কর্মকর্তা।