বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে পাইকারি ক্রেতা না থাকায় গোবিন্দগঞ্জে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে উন্নত জাতের কিউ সিক্সটিন জাতের আখ। এতে চরম বিপাকে পড়েছে আখ চাষিরা। উলে¬খ্য, এই জাতের আখ চিনি উৎপাদন বা গুড় উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহার না করে রস খাওয়া এবং এমনি ছিলে খাওয়ার জন্যই মূলত: ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশেষ করে এ আখগুলো লাল রংয়ের দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও মিষ্টি এবং সুস্বাদু। সে কারণে ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদাও অনেক বেশী।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের বকচর, চেরাগাড়ি, চাঁদপাড়া, ঘোরামারা, মাস্তা বার্ণা আকুবসহ আশেপাশের এলাকা জুড়ে কিউ সিক্সটিন জাতের আখ চাষ করে আসছে কৃষকরা। এবার ১৮০ হেক্টর জমিতে কিউ সিক্সটিন জাতের আখ চাষ করা হয়। দেশব্যাপী এ আখের চাহিদা থাকলে এ বছর তা বিক্রিই করতে পারছে না কৃষকরা। চৈত্র-বৈশাখ মাসে আখ বিক্রির ভরা মৌসুম হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে দেশজুড়ে লকডাউন চলায় পাইকার না আশায় ক্ষেতেই পড়ে থেকে শুকিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আখগুলো।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে শুধু এ জাতের আখই নয়, কৃষিজাত সব ফসলের ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পড়েছে। এজন্য বিভিন্ন জেলার পাইকারদের সাথে যোগাযোগ করে কৃষকদের আখ বিক্রির চেষ্টা করা উচিত বলে উলে¬খ করা হয়। এই এক্ষেত্রে আখ পরিবহনে কোন সমস্যা হলে কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করবে বলেও জানা গেছে।