স্টাফ রিপোর্টারঃ শিক্ষার্থী অনুপাতে ক্লাস রুম না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পলাশবাড়ী উপজেলার শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাসুদেবপুর চন্দ্র কিশোর (সিকে) স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
১৯১৭ সালে স্থাপিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ জন।
বিশাল এ সংখ্যার বিপরীতে ক্লাস রুম রয়েছে মাত্র ১১টি। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা।
গত বুধবার দুপুরে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে অবস্থিত ঐহিত্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর নূর জানান, ১৯১৭ সালে ৪ একর ৭১ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক ভবন- ক্লাস রুম সংকট বিরাজমান। প্রতিষ্ঠানের প্রথম নির্মিত একাডেমিক ভবনটি ১৯৮৫ সালে তৎকালীন জগন্নাথ ট্রাজেডির সময় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ২০১৮ সালে চারতলা একটি ভবনের বরাদ্দ দেয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ফ্যাসিলিজিট ডিপার্টমেন্ট। ২০১৯ সালের মে মাসে কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর নির্মাণ শুরু করে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ আড়াই বছর অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি ভবনের অর্ধেক কাজও শেষ হয়নি। বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাথী আক্তার ও মরিয়ম জানান, করোনাকালে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর পূর্ণাঙ্গ ক্লাস চালু হওয়ায় আনন্দে সব শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানমুখী হওয়ায় আসন সংকুলান হচ্ছে না। একটি বেঞ্চে ৪-৫ জন শিক্ষার্থী বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। এর মধ্যে চৈত্রের উত্তাপ-গরমে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে শরীর ঘেমে যাওয়ায় আমাদের বেশ কষ্ট হচ্ছে। নির্মাণাধীন ভবনটি চালু হলেই এ পরিস্থিতি থেতে মুক্তি মিলবে।
প্রতিষ্ঠানের গর্ভনিং বডির সভাপতি খাজা নাজিম উদ্দিন বলেন, একইসঙ্গে উপজেলায় আরও কয়েকটি ভবনের বরাদ্দ দেয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ফ্যাসিলিজিট ডিপার্টমেন্ট। ইতোমধ্যে অধিকাংশ ভবন হস্তান্তর করা হয়েছে। কোনোটি হস্তান্তরের পর্যায়ে রয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের ভবনটির নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।
গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল অধিপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণেই ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।