পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডির অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে উপসহকারী প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন। উক্ত অফিসে ৩ জন উপসহকারী প্রকৌশলী যথাক্রমে হেলাল উদ্দিন, সুজাউদ্দৌলা এবং আব্দুল আলিম থাকলেও উপজেলার সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কাজের তদবির এবং তদারকি করে থাকেন ওই হেলাল উদ্দিন। রাস্তা মেরামত প্রকল্প ১৫টি স্কুল ভবন নির্মাণ ২৬টি, এ সকল কাজের তদারকি এবং দায়িত্ব তিনি একাই করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার নামে। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের সরলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে, হেলাল উদ্দিন কতিপয় অসাধু ঠিকাদারের সাথে গোপন আঁতাত করে প্রাক্কলনের বাহিরে নিম্নমানের কাজ করে থাকেন বলেও তার নামে অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিদ্যালয়ে নিম্নমানের কাজ করায় সাংবাদিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভয়ে ঢালাই ভেঙ্গে পুনরায় ঢালাই করে নিয়েছেন, তাছাড়াও কয়েকটি বিদ্যালয়ের নির্মাণের জন্য নিম্নমানের পাথর সংগ্রহ করে প্রকল্প সাইডে এনে ঢালাই কাজ শুরু করলে তিনি জনতা রোসানলে পড়ে যায়। এ খবর সাংবাদিকরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তিনি তাড়াতাড়ি ওই পাথরগুলো অপসারণ করে সরিয়ে ফেলে, এছাড়াও অধিকাংশ বিদ্যালয় এর ব্যাজ ঢালাইয়ে হিসেবের তুলনায় সিমেন্ট কম দিয়ে বালিও পাথরের মাত্রা বৃদ্ধি করে কাজ করে থাকেন। ইতিপূর্বে তিনি পলাশবাড়ীতে থাকাকালীন বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে কর্তৃপক্ষ তাকে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বদলী করেন। সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে মামলা পর্যন্ত গড়ায়। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে তার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের ফাইল লাল ফিতায় বন্দি করে রাখেন। এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, উপজেলার সকল কাজ দেখাশুনার দায়িত্ব হেলাল উদ্দিনই পালন করে থাকেন। উল্লেখিত ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত হলে হেলাল উদ্দিনের থলের বিড়াল বেরিয়ে পরবে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।