শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন

পলাশবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে

পলাশবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে

পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ পলাশবাড়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্ব অবহেলার কারণে অনিয়মের আখরায় পরিণত হয়েছে বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইতিপূর্বে কয়েকটি বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও শুধু দায়সারাভাবে শোকোচ করা হয়েছে। পরবর্তীতে অনিয়মের সঠিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা যায়। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার ৪নং বরিশাল ইউনিয়নের ছাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে বিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ ২ লক্ষ টাকা, স্লিপ বাবদ ৫০ হাজার এবং শিশু শ্রেণির ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। উক্ত বরাদ্দের শুধুমাত্র বিদ্যালয় মাঠে ৭ ট্রাক্টর (কাকড়া) মাটি ভরাট করা হয়েছে, যার মূল্য অনুমান ৬ হাজার টাকা। বাকী টাকার কি কাজ করা হয়েছে তা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার সাংবাদিককে বলেন বরাদ্দের সব তথ্য অফিসে আছে ওখান থেকে নিয়ে নেন আমি কোন তথ্য দিতে রাজী নই বলে তিনি চলে যান। গত ৩ আগস্ট উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের চকবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ২.২৪ মিনিটে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থী শূন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়াও ইতিপূর্বেও ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী শূন্য খবর প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তবে প্রধান শিক্ষক সাধন সরকারের কাছে বরাদ্দ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধুমাত্র শিশু শ্রেণির ১০ হাজার টাকা পেয়েছি তাছাড়া অন্য কোন বরাদ্দের টাকা পাইনি। তবে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ে স্লিপের ৫০ হাজার ও রুটিন মেইনটেন্ট ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। অপরদিকে ৪ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে হোসেনপুর ইউনিয়নের সাতআনা নওদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অত্যান্ত নিম্নমানের ইট দিয়ে শহীদ মিনারের বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ ও কোন ঘষামাঝা ছাড়াই দায়সারাভাবে বিদ্যালয়ে রং এর কাজ করতে দেখা যায়। তবে ওই বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত ভবনে নামমাত্র কাজ করতে দেখা যায়। তবে প্রধান শিক্ষক লায়লা আঞ্জুমান বানুর কাছে বরাদ্দ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ ২ লক্ষ টাকা এবং শিশু শ্রেণির ১০ হাজার টাকা পেয়েছি, আর কোন বরাদ্দের টাকা পাইনি। প্রধান শিক্ষককে নিম্নমানের ইট ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এইসব কাজ নিজস্ব অর্থায়নে অতিরিক্ত করছি। তাতে ইট খারাপ হলেও কোন দোষ নেই। তবে অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি বিদ্যালয়েই স্লিপের বরাদ্দ রয়েছে। এলাকার সচেতন মহল সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com