বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন

পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন সম্পর্কিত এক জরুরী সভা

পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন সম্পর্কিত এক জরুরী সভা

স্টাফ রিপোর্টারঃ সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধকল্পে সরকারি নির্দেশনার আলোকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন সম্পর্কিত এক জরুরী সভা গতকাল সোমবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মতিন।
সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র অ্যাডঃ শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহার, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্যাহ হারুন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাজিজের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদার রহমান শাহান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক, জেলা কৃষি অফিসার, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি কেএম রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, জেলা ইমাম সমিতির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক গাইবান্ধার সর্বত্র আসন্ন ঈদ-উল ফিতরের নামাজ ঈদগাহ মাঠের পরিবর্তে অবশ্যই মসজিদে পড়তে হবে। নামাজে আগত মুসুল্লীদের মাস্ক পড়ে বাড়ি থেকে জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদের কোন কার্পেট ছাড়াই খোলা মেঝেতে নিজ নিজ জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। ওযুর স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান রাখতে হবে। শিশু ও বয়ো-বৃদ্ধদের মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। মসজিদে আগত মুসুল্লীরা যাতে ঈদের নামাজে অংশ গ্রহণ করতে পারে সেজন্য প্রতিটি মসজিদ কমিটিকে একাধিক জামাতের নামাজ আয়োজন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া একটি সারি বাদ দিয়ে পাশাপাশি ৩ ফুট দূরত্বে দাঁড়িয়ে নামাজে অংশ নিতে হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গাইবান্ধার কেন্দ্রীয় ঈদের নামাজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠের পরিবর্তে বড় মসজিদে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে এবং ৯টা ৩০ মিনিটে দুটি জামাতে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ঈদ সংক্রান্ত সভা শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘কার্বাইড মিশ্রিত বিষাক্ত আম বিক্রয় প্রতিরোধ কল্পে’ শীর্ষক এক বিশেষ সভা জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সিভিল সার্জন, পৌরসভার মেয়র, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আম ব্যবসায়িরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় কার্বাইড যুক্ত আম বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া আগাম রাজশাহী এবং রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম মে মাসের মধ্যে বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com