শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার পৃথক ঘটনায় ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সব মামলায় পরাজিত চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকসহ ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। তবে এ সব মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ভোট কেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা এবং ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গত ১৩ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত গাইবান্ধা সদর থানায় ৮টি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে ৬টি মামলার বাদি হয়েছেন সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার। এ ছাড়া একটি মামলার বাদি গিদারী ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ ইদু। অপরটির বাদি লক্ষীপুর ইউনিয়নের নিহত নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুর রউফ সরকারের বড় বোন মমতাজ বেগম।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুদুর রহমান মাসুদ জানান, সদর থানায় ৮টি মামলা দায়ের হলেও ইউপি সদস্য আবদুর রউফ হত্যা মামলাটি পারিবারিক ঘটনা। অপর একটি মামলা হয়েছে গিদারী ইউপির বিজয়ী চেয়ারম্যানের ওপর হামলা, স্থানীয় আঃলীগ কার্যালয় ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ভাঙচুরের ঘটনায়। এ ছাড়া দক্ষিণ ধানঘড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিশামত মালিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রসহ ছয়টি কেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আহতসহ একাধিক অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলা করেন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার।
উল্লেখ্য গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে গত ১২ নভেম্বর রাতে লক্ষীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুর রউফ সরকারকে পিটিয়ে হত্যা করে আরিফ মিয়াসহ তার লোকজন।
এ ছাড়া ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ধানঘড়া ভোট কেন্দ্রে হামলা-সংঘর্ষের সময় পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেটের আঘাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ নভেম্বর মারা যান বল্লমঝাড় ইউনিয়নের দক্ষিণ ধানঘড়া গ্রামের হামিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।