মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:০০ অপরাহ্ন
ধাপেরহাট (সাদুল্লাপুর) প্রতিনিধিঃ নতুন জন্ম নিবন্ধন বা সংশোধন করতে গিয়ে অভিভাবকগন হয়রানীর শেষ নেই। গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। একাধিক দপ্তরের দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে ৫/৭ দিন, তবু মিলছে না জন্ম নিবন্ধন। হাফিয়ে উঠছে মানুষ। এর সুষ্ঠ সমাধান কোথায়? প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদে, সেখান থেকে আবার উপজেলা আই,সিটি কেন্দ্রে, সেখানে যাওয়ার আগে সঠিক পরামর্শ না পেয়ে কাগজ পত্র ভুলের কারনে আবার পুনরায় ফিরে আসতে হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদে। মুলোতো, ৫ম শ্রেনীর সার্টিফিকেটের সাথে পরবর্তী শিক্ষা সনদে অনেকের জন্ম তারিখ, পিতা, মাতার নামের প্রথম অংশ বা শেষ অংশ, যেমন: ইসলাম, মিয়া, প্রধানের ইত্যাদি মিল নেই মাতার ক্ষেত্রেও তাই, সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে একই জন্ম তারিখ একই নাম থাকতে হবে, তখন আবার দৌড়াতে হচ্ছে শিক্ষা অফিসে সনদ সংশোধন করার জন্য, উচ্চ ডিগ্রীধারী হলে কোট এফিডেভিট, পত্রিকা কাটিং আবার শিক্ষা বোর্ডে ধরনা, আবার আগে প্রদত্ত জন্ম সনদের সাথে সেটার মিল থাকতে হবে নইলে সব বিফল, এমন ধর্না দিতে গিয়ে যেমন গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ তেমনি কেটে যাচ্ছে সপ্তাহ থেকে মাস। জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করা হয়েছে যেন মরন-জ্বালা। আবার মাঝে মাঝে ফিরছে মানুষ সার্ভার সমস্যায়। টিকার কার্ড না থাকলে স্বাস্থকর্মীর সনদ, গ্রেজেটেট অফিসারের প্রত্যায়ন, প্রধান শিক্ষকের প্রত্যায়ন, ট্যাক্স টোকেন, জন্ম নিবন্ধন ফি,অনলাইন ফ্রি, ইত্যাদিসহ আরও কত নিয়ম। সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ছোট ছত্রগাছা গ্রামের, হামিরন, রোকেয়া, চকসারাইয়ের স্কুল ছাত্রী উম্মে কুলসুম, পালান পাড়ার ব্যাবসায়ী শংকর শাহা সহ অনেকে জানান ৫/৭ দিন কেউ আবার ১০/১৫ দিন যাবৎ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও সঠিক কাগজ পত্র জমা না দেয়ায় আজো হাতে পায়নি জন্ম সনদ, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উদ্ধঃতন কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া প্রয়োজন। জন্ম নিবন্ধন পদ্ধতি হউক সহজ। জন্ম নিবন্ধন পেতে সাধারন জনগন যেন হয়রানীর স্বীকার না হয় ভূক্তভোগি ও সচেতন মহলের এটাই দাবি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!