ধাপেরহাট (সাদুল্লাপুর) প্রদিনিধিঃ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ঐতিহ্য বাহী ব্যবসা কেন্দ্র জাতীয় মহাসড়কের উপর অবস্থিত ধাপেরহাটের প্রধান প্রবেশদ্বার ২টি রাস্তায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জনদূর্ভোগ চরমে। প্রতিবছর এ হাট থেকে সরকার প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকেন। কিন্তু চোখে পড়ার মতো কোন উন্নয়ন হয়নি এ হাটের। তিন উপজেলার সীমানায় অবস্থিত হওয়ায় এ হাটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। আর প্রবেশ দ্বার রাস্তা দুটিতে একটু বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে সীমাহীন দূর্ভোগে পরেন পথচারীসহ রিক্সা,ভ্যান,অটোসহ ছোট বড় যানবাহান গুলি।
ধাপেরহাট টু সাদুল্লাপুর, ধাপেরহাট টু লালমাটির ঘাট সড়কের রাস্তার অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় দেখার কেউ নেই! এ সড়ক দুটি দিয়ে প্রতিদিন ২০/২৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ ও জীবনের ঝুকি নিয়েই হাটে প্রবেশ করে। মহাসড়ক থেকে নেমে যাওয়া জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তা ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বছরের প্রায় ৪ মাস হাটু পানির নিচে ডুবে থাকে। স্কুল কলেজ খুলতেই সীমাহীন দূর্ভোগে পড়বে শিক্ষার্থীরা। ধাপেরহাটের ২ কি:মি-এর ব্যবধানে ৭টি কলেজ,৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪টি মাদরাসা ২টি কারিগরি কলেজ অবস্থিত। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় সকল শিক্ষার্থীদের জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা ২টি দিয়েই কাঁদা ময়লা দূর্গন্ধযুক্ত পচা পানিতে পা ডুবিয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়।
ধাপেরহাট এলাকাটি উচু দো’আশ মাটি হওয়ায় এখানে প্রচুর পরিমানে কাঁচা তরিতরকারীসহ বিভিন্ন রকমের রবি শষ্য উৎপাদন হয়ে থাকে। কৃষকের কষ্টে উৎপাদিত এসব কাঁচামাল বিক্রির সময় রিক্সা, ভ্যান যোগে এ হাটে আনতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি পয়সা। সপ্তাহের দুই দিন হাট বার সোম ও বৃহস্পতিবার এ হাট থেকে ১৫/২০ ট্রাক কাঁচামাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হয়ে থাকে। এলাকার শিক্ষার্থী ও কৃষকের কথা চিন্তা করে ধাপেরহাটের প্রবেশ দ্বার এ রাস্তা দুটিতে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা এলাকাবাসীর প্রানের দাবি হয়ে উঠেছে।
ধাপেরহাট সাদুল্লাপুর রাস্তাটি জেলা পরিষদের আওতাধীন হওয়ায় কথা হয় স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য এম,এস, রহমানের সাথে তিনি বলেন রাস্তা সংস্কার বা ড্রেনেজ ব্যবস্থা করার জন্য জেলা পরিষদ থেকে কোন বরাদ্দ হয়না। ধাপেরহাট টু লালমাটির ঘাট সড়ক টি এল,জি,ই,ডির আওতাধীন হওয়ায় কথা হয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ ও ইউপি সচিব সৈয়দ আফলাক হোসেন সেন্টুর সাথে তাদের বক্তব্য ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ আসে তা দিয়ে এক মাত্র হাটের উন্নয়ন মুলক কাজ করা হয়। এছাড়াও তিনি আশার বানী শুনিয়ে বলেন, খুব শীঘ্রই মহাসড়ক থেকে লালমাটির ঘাট সড়কের ১ কি:মি রাস্তা সংস্কার হচ্ছে। অর্থ বরাদ্দ হয়েছে- এল,জি,ই,ডির অর্থায়নে ঠিকাদারের মাধ্যমে এ রাস্তাটি কাজ শুরু হবে।