শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সাঘাটা উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম দুই সিমান্ত দিয়ে যমুনা ও আলাই নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৫০ টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। সেই সাথে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নিচু এলাকা গুলো প্লাবিত হয়ে আমন ফসল তলিয়ে গেছে।
আলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার জুমারবাড়ী, কচুয়া, কামালেরপাড়া, বোনারপাড়া, পদুমশহর ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের আমন, শাকসবজি, মাশকালাই তলিয়ে গেছে। অপরদিকে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভরতখালী সাঘাটা ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম ও হলদিয়া ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের আমন ফসল তলিয়ে গেছে। একদিকে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে অন্যদিকে এবারের বন্যায় আমন ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
কচুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নে ১২টি গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ত্রিমোহনী থেকে ওসমানেরপাড়া গ্রামের শেষ সীমানা পর্যন্ত নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা করা হলে কচুয়া ইউনিয়নর ভাঙ্গণের হাত থেকে রক্ষা পাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার সাদেকুজ্জামান জানান, এবারের অকাল বন্যায় ১৯’শ ৭৫ হেক্টর আমন ফসল, ২০ হেক্টর শাকসবজি ও ২৫ হেক্টর মাশকালাই বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বন্যা কবলিত এলাকাগুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর পরিদর্শন করেছেন। এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিঠুন কুন্ডু উপস্থিত ছিলেন।