বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪২ অপরাহ্ন

দাপ্তরিক জটিলতায় ৩ বছর যাবৎ সীমাহিন দূর্ভোগঃ রাস্তায় খানা খন্দে ভরপুর

দাপ্তরিক জটিলতায় ৩ বছর যাবৎ সীমাহিন দূর্ভোগঃ রাস্তায় খানা খন্দে ভরপুর

ধাপেরহাট (সাদুল্লাপুর) থেকে মোঃ আমিনুল ইসলামঃ সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট মহাসড়ক থেকে সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরের প্রধান প্রবেশদ্বার ১৬ কিঃ মিঃ পাকা রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে চলছে ভারি যানবাহন ও হাজার হাজার পথচারী। এ রাস্তাটি নির্মানের জন্য টেন্ডার হলেও দীর্ঘ ৩ বছরেও নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হরিপুর চিলমারি তিস্তা সেতুর উদ্ধোধন করেন। তার ৩ বছর পর প্রকল্প পরিচালক খন্দকার মাহাবুব হোসেন ২০১৭ সালের ২৮ সেন্টেম্বর টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। কুড়িগ্রামের চিলমারী রাজিবপুর, রৌমারী ও গাইবান্ধা জেলাবাসি দীর্ঘদিনের দাবী হরিপুর চিলমারী তিস্তা সেতু। ১.৪৯০ কিঃ মিঃ পিছি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। দাপ্তরিক জঠিলতাসহ বিভিন্ন কারনে সেই মেয়াদ বাড়ীয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত করা হয়েছিল। যা ২০২০ সালের শেষ নাগাদেও শেষ হয়নি। ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মাণ করা হবে এই তিস্তা সেতু। এর মধ্যে ২৭৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা মুল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। সড়ক নির্মানে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬ কোটি টাকা। সেতুর উভয় পাশে নদী শাসন করা হবে ৩.২৫ কি:মি করে। সেতুর উভয় পাশে সড়ক নির্মাণ হবে ৫৭.৩ কি:মি। এর মধ্যে চিল মারী মাটি কাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ কি:মি এবং সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০কি:মি।
চিলমারী অংশে একসেস সড়ক সেতু থেকে কাশিমপুর বাজার পর্যন্ত ৫.৩ কি:মি ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কি:মি। সড়ক নির্মানে জমি অধিগ্রহণ করার কথা ৯০.৮৪ হেক্টোর চিলমারী এলাকায় ২২.৫ হেক্টোর এবং গাইবান্ধা এলাকায় ৬৮.৩৪ হেক্টোর। কিন্তু আজঅবধি ২০১৯ সাল পেরিয়ে ২০২০ সাল শেষ হতে চললেও কাজের তেমন কোন চোখে পড়ার মতো অগ্রতি নেই।
১৭ সালের ১৫ জুন জাতীয় সংসদে গাইবান্ধা-১, সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহম্মেদ বাজেট অধিবেশনে হরিপুর তিস্তা সেতু নিয়ে জোরালো বক্তব্য রাখার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শে সড়ক নির্মানের মাটি ভরাটের টেন্ডার হয়েছে। সেই সময় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনছুর জানিয়ে ছিলেন তিস্তা সেতুর যাবতীয় কার্যক্রম গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় হতে পরিচালিত হবে। বর্তমান ধাপেরহাট থেকে সাদুল্লাপুর পর্যন্ত এ রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে একটু বৃষ্টি হলেই হাটুপানি জমে থাকে। ১৬ কি:মি এ রাস্তার দু’পাশে গাইবান্ধা জেলা পরিষদের গাছ লাগানো ছিল। রাস্তার কাজ শুরু হবে জন্য সেই গাছগুলি দ্রুত টেন্ডারের মাধ্যেমে বিক্রিও হয়েছে। এ কারনে হয়েছে আরও যতসমস্যা। রাস্তার দু’পাশ্বের গাছ কাটার কারনে খানা খন্দে ভরে গেছে রাস্তাটি। এ যেন অভিভাবকহীন একটি রাস্তা। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশ উন্নয়নের বাংলাদেশে এ রকম একটি খানা খন্দে ভরে থাকা রাস্তা বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। রাস্তা সংস্কার বা পুন: নির্মানের বিষয়টি জানতে চাইলে সাদুল্লাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহরিয়া খান বিপ্লব বলেন, ঐ রাস্তাটি দ্রুত সংষ্কার করা খুবই প্রয়োজন। আমরা সংস্কার বাবদ ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা চেয়ে এলজিইডিকে চিঠি দিয়ে ছিলাম। কিন্তু ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কি:মি রাস্তা টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ গাইবান্ধা নিবার্হী প্রকৌশলীর কার্যালয় হতে পরিচালিত হবে। এ কারনে উক্ত রাস্তাটি সংস্কার কাজ বিলম্ব হচ্ছে। আমরা চেষ্টায় আছি দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্যস্ততম রাস্তাটি সংস্কার অথবা নির্মাণ কাজ যেন শুরু হয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com