বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা থিয়েটার এর ৩২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গত শনিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফা কর্মসূচির আওতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ৩২টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। পরে জেলার তিন গুণীজনকে নাট্যকলায় অভিনয় ও নাট্যকার বিশেষ অবদানের জন্য তুলসী লাহিড়ী সম্মাননা প্রদান করা হয়। তদুপরি গাইবান্ধার প্রথম নারী সংগঠক সালেহা বেগম জেলীকে থিয়েটার স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া তিন দম্পতিকে নাটকে সার্বিক অবদানের জন্য গাইবান্ধা থিয়েটার মঞ্চযুগল সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পৌরসভার মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন আলোক প্রজ্জ্বলের উদ্বোধন করেন এবং গুণীজনদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন। থিয়েটারের কর্মীরা প্রবীণ কর্মীরা সম্মাননা প্রাপ্ত গুণীজনদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
গুণীজনদের মধ্যে নাট্যকলায় তুলসী লাহিড়ী সম্মাননা পেলেন প্রবীণ নাট্যজন ও নাট্যাভিনেতা আশিষ কুমার টুকু, নাট্যকার ও সাহিত্যিক আবু জাফর সাবু, নাট্যজন ও নাট্যভিনেতা ফারুক শিয়র চিনু। এছাড়া নাটকে সার্বিক অবদানের জন্য থিয়েটারের মঞ্চযুগল সম্মাননা পেলেন মোহাম্মদ আমিন ও শাহনাজ মুন্নি দম্পতি, জুলফিকার চঞ্চল ও মাহমুদা ফাহমিদা মৌসুমী দম্পতি এবং সাজু সরকার ও সাগরিকা আকতার মনা দম্পতি।
শাহ আলম বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গুণীজনদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আবু জাফর সাবু ও ফারুক শিয়র চিনু। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন থিয়েটারের সভাপতি আলমগীর কবির বাদল, ঘাগোয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নাট্যকর্মী আমিনুর জামান রিংকু, খন্দকার সুমন। নাটকের সংলাপ উচ্চারণ করেন আরিফুল ইসলাম বাবু। কবিতা আবৃত্তি করেন পিটু রশীদ, সোহেল রানা এবং গুণীজনদের জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করেন লতা সরকার। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক পরিবেশিত হয়। মমতা চাকী রচিত ‘অর্জন’ নাটকটি পরিবেশন করে গোবিন্দগঞ্জের কিশলয় ও ভোর হলো সংগঠন এবং ‘বিজয় বাংলা’ নাটকটি পরিবেশন করে গাইবান্ধার ‘অন্তরঙ্গ থিয়েটার’। সংগীত পরিবেশনায় প্রিথা ও সুরবানী সংসদের জাহিদ হাসান সবুজ, দেবী রাণী সাহা, লতা সরকার, রিংকি এবং নৃত্য পরিবেশনায় ছিল নৃত্যাঞ্জলের শিল্পীরা।