বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় ত্রাণ তৎপরতা চালানো, ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয়ের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থানের বিষয়টি মানা হচ্ছে না। তদুপরি গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে এখনও ঠাসাঠাসি ভীড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়লেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই।
উল্লেখ্য, জেলার পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ১০ টাকা কেজি দরে দরিদ্রদের মধ্যে চাল বিক্রয় করা হচ্ছে। এই চাল ক্রয়ের জন্য তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করতে গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতে ভীড় করে আইডি কার্ড প্রদান এবং ক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঠেলাঠেলি করে চাল ক্রয় করতে দেখা যায়। এছাড়া জেলা সদর, পৌর এলাকা ও গ্রামাঞ্চলগুলোতে জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যে ত্রাণ বিতরণ করছে সেক্ষেত্রেও নিরাপদ দূরত্বে এ বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না। অথচ রোববার পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলায় ৫ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীসহ ১৫৮ জন সন্দেহজনক রোগীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন এ জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থানের বিষয়টি মানা একান্ত জরুরী। অন্যথায় সংগত কারণেই করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের বৃদ্ধি পাওয়ার সংখ্যা ঝুঁকি ক্রমশ বাড়বে বই কমবে না।
ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা সমূহ প্রতিপালিত না হলেও এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগ সংস্থা বা জনপ্রতিনিধিরা কোন ভূমিকাই রাখছেন না।