বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অর্ডার ভেলিভারি দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে ছাপাখানার শ্রমিকরা

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অর্ডার ভেলিভারি দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে ছাপাখানার শ্রমিকরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস এলেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্যালেন্ডার, ডায়েরি, পাঠ্যপুস্তক এবং গ্রন্থমেলার বই ছাপানোসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকে গাইবান্ধার ছাপাখানাগুলো । তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর প্রেসপাড়ায় নেমে আসে অন্ধকারের ছায়া। কিন্তু এবছর ইউপি নির্বাচনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে প্রেসপাড়ায়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনার কারণে ছাপাখানাগুলোতে কাজ হয়নি। অনেক প্রেস কাজ না পাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে। তবে নির্বাচনকে ঘিরে প্রেসপাড়ায় নির্বাচনি লিফলেট, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, ভোটার স্লিপ , ডিজিটাল ব্যানার, পোস্টার লেমেনেটিং তৈরিতে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন প্রেস শ্রমিকরা।
জানা যায়, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাপক হারে ক্যালেন্ডার, বিয়ের কার্ড, ডায়েরি, দোকানের প্রচারণা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যপুস্তক, ব্যানার ফেস্টুন, ধর্মীয় মিলাদ মাহফিল, কোচিং সেন্টারের ব্যানার-পোস্টার ছাপানোর অর্ডার নেওয়া হয়। বছরের ১১ মাস তেমন কাজ থাকে না। কোন মতে পার হয় সময়। আয়ের মৌসুম ডিসেম্বর মাস। তাই প্রেসপাড়ায় এ মাসকে পৌষমাস ধরে নেন প্রিন্টিং প্রেস মালিক-শ্রমিকরা। কিন্তু করোনার কারণে প্রেসপাড়ায় সর্বনাশ হয়েছে গত বছর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লোকসানে পড়তে হয়েছে । গাইবান্ধার ডজন খানেক ছাপাখানা রয়েছে। এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান নির্বাচনি ব্যানার-ফেস্টুন ছাপানোর কাজ পেয়েছে, যা বার্ষিক কাজের ৫ শতাংশ বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তাই ঠিক সময়ে অর্ডার ভেলিভারি দিতে ব্যস্ত হয়েছে জেলা শহরের ছাপাখানা গুলো । গতকাল গাইবান্ধার বেশ কয়েকটি ছাপাখানা ঘুরে দেখা যায়, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে উঠছে প্রেসগুলো। ঘাঘট প্রিন্টার্সে গিয়ে দেখা যায়, ইউপি নির্বাচনের প্রার্থীদের পোস্টার ছাপানো হচ্ছে। ওই প্রেসের মালিক আব্দুস সামাদ সরকার বাবু বলেন, ছাপাখানা বেশি থাকাতে প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়েছে এই ব্যবসা । নির্বাচন ও স্কুল কলেজের অর্ডার এক সাথে আসায় এবার অনেক কাজ একসাথে পেয়েছি প্রায় ২৪ ঘন্টা আমাদের প্রেস খোলা থাকে । নির্বাচনের কিছু পোস্টার অর্ডার হয়েছে লাভ কম হলেও খরচের টাকা তুলতে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
এদিকে বড় অর্ডার ভেলিভারি দিতে ব্যস্ত থাকায় ব্যবসায়ীরা ছোট কোন অর্ডার যেমন পিভিসি ব্যানার সহ বেশ কিছু ছোট খাটো প্রিন্টিং এর কাজ নিচ্ছে না । এতে বিরম্বনার শিকার হচ্ছে এসব গ্রাহক । গাইবান্ধা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাহফুজ আলম মন্ডল জানান একটি ব্যানার তৈরি করতে আমাকে পাঁচটি প্রিন্টার্স ঘুরতে হয়েছে কোন জায়গায় ছোট কাজের অর্ডার নিচ্ছে না ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com