বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলা আইন শৃংখলা কমিটি ও আইন শৃংখলা বিষয়ক অন্যান্য মাসিক সভা রোববার জেলা কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মতিন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোছা. জেবুন নাহার গত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা: এবিএম আবু হানিফ, এনএসআইএর উপ-পরিচালক, গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কেএম রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা র্যাব ক্যাম্প ইনচার্জ, জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারি পরিচালক কর্মকর্তা মাছুম আলী, জেলা মার্কেটিং অফিসার, জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা, উপ-পরিচালক মহিলা অধিদপ্তর, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, বিআরটিএ কর্মকর্তা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, বিজিবি রংপুর প্রতিনিধি, জেলা ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক, জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি কাজী মকবুল হোসেনসহ সরকারি কর্মকর্তারা প্রমুখ।
জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ, শীতার্ত শিশুদের মধ্যে শীতবস্ত্র ও শিশু খাদ্য বিতরণ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পর্যায়ে দ্রুততম সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির লাইসেন্স প্রদানের উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া জেলা শহরের যানজট নিরসন, বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় যানজট নিরসন রোধে ষ্ট্যান্ড থেকে যাত্রাবাহি বাস বের হয়ে কোথাও কোথাও না দাঁড়িয়ে সরাসরি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। জেলা শহরে ৬৬ ফুট ফোরলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কল্পে এ মাসের ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি সড়ক সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ির মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে এবং র্ফেরুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে সড়কের দু’পাশে উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। সভায় আরও উল্লেখ করা হয়, লাইসেন্স বিহীন ওষুধের দোকানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, ভেজাল কসমেটিকস্ প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন, মাদক সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে বিচার ব্যবস্থা দীর্ঘ শক্তিতা পরিহার করে দ্রুত বিচার সম্পন্ন এবং গাইবান্ধায় মাদক নিরামক কেন্দ্র স্থাপন, চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা, ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ক্ষতিকর ও নিষিদ্ধ পিরানহা ও আফ্রিকান মাগুড় মাছ চাষ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ সহ জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ এই শ্লোগান বাস্তবায়নে নারী ও শিশুদের সহায়তার ক্ষেত্রে এবং জিডি গ্রহণসহ সর্বক্ষেত্রে জেলার প্রতিটি থানায় জনগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ি মাদক ব্যবসায়ি ও সন্ত্রাসীদের কোন পরিচয় নেই। সেজন্য এক্ষেত্রে জিরো ট্রলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে এবং দেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করতে সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বক্ষণ সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়াও জেলার চোরাচালান প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটি, জেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি, জেলা পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি, জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, নারী ও শিশু পাচার সংক্রান্ত মামলা সমূহের যথাযথভাবে মনিটরিং, নারী ও শিশু পাচার সংশি¬ষ্ট ভিকটিমদের উদ্ধার ও পুনর্বাসন কমিটি, ঔষুধের অনিয়মক প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা অ্যাকশন কমিটি, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন ও প্রচারণা কমিটি, জেলা মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটি সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভায় সংশি¬ষ্ট বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভাগুলোতে সংশি¬¬ষ্ট কমিটির সদস্য, ৭টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, র্যাব, বিজিবি, মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, জেল সুপারসহ জেলার সকল বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।