স্টাফ রিপোর্টারঃ ‘ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে নীরিহ মানুষকে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা দেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতিরই একটি উদাহরণ। এমন নৃশংস ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও এর উস্কানিদাতাদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে দেশে আরও এমন ঘটনা ঘটতে থাকবে। সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠবে’।
লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে আবু ইউসুফ মোঃ শহীদুন্নবী জুয়েলকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার বিচার দাবিতে গতকাল সকালে গাইবান্ধায় ‘প্রতিবাদী সমাবেশ’-এ বক্তারা এসব কথা বলেন। ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্যাতন, হত্যাসহ সাম্প্রতিক নানা অনিয়মের প্রতিবাদে গড়ে ওঠা নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ’ এই প্রতিবাদী সমাবেশের আয়োজন করে।
গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বর্ষিয়ান রাজনীতিক আমিনুল ইসলাম গোলাপের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবীর তনুর সঞ্চালনায় জেলা শহরের ডি.বি রোডে ১নং ট্রাফিক মোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি আলমগীর কবীর বাদল, উদীচী গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল গণি রিজন, জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জনি, বাসদ মার্কসবাদী জেলা পাঠচক্র ফোরামের সদস্য সচিব মনজুর আলম মিঠ, আবু রাহেন শফিউল্লাহ খোকন, এ্যাডঃ মোস্তফা মনিরুজ্জামান, জেলা বাসদ সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, নারীনেত্রী ইশরাত জাহান লিপি, জাতীয় যুবজোট জেলা সভাপতি সুজন প্রসাদ, নুর মোহাম্মদ বাবু, পলাশ চাকী প্রমুখ।
একই দাবিতে সন্ধ্যায় গাইবান্ধা পৌর শহিদ মিনারে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ প্রগতিশীল সংগঠনসমূহের যৌথ উদ্যোগে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।